সংক্ষিপ্ত

এই পরিষেবার মাধ্যমে মহিলারা সরাসরি বাড়িতে গিয়ে ব্যাঙ্কের ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাকা প্রদান করবেন। কার্যত দুয়ারে সরকারের মত দুয়ারে ব্যাঙ্ক পরিষেবার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ ঘরে বসেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পাবেন। অন্যদিকে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাও নতুন উপার্জনের দিশা খুঁজে পাবেন। 

বৃদ্ধভাতা, পেনশন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকা তুলতে গ্রামের মানুষকে লাইন দিতে হয় ব্যাঙ্ক বা এটিএমে। আর সেখানেও হয়রানির কোনও শেষ থাকে না। দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার ফলে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েন বয়স্করা। কিন্তু, এখন থেকে তাঁদের আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না। বাড়িতে বসেই পেনশন সহ বিভিন্ন ভাতার টাকা তুলতে পারবেন তাঁরা। সম্প্রতি এমন একটি পরিষেবা চালু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে জেলার ৬৪ টি গ্রামপঞ্চায়েতে 'ডিজিপে সখী' পরিষেবা চালু করা হয়েছে। এই পরিষেবার মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় বাড়িতে গিয়ে মহিলারা সরাসরি ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রদান করবেন। 

এই পরিষেবার মাধ্যমে মহিলারা সরাসরি বাড়িতে গিয়ে ব্যাঙ্কের ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাকা প্রদান করবেন। কার্যত দুয়ারে সরকারের মত দুয়ারে ব্যাঙ্ক পরিষেবার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ ঘরে বসেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পাবেন। অন্যদিকে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাও নতুন উপার্জনের দিশা খুঁজে পাবেন। 

আরও পড়ুন- স্বাদবদলে রসে-বশে বাঙালি, জমে উঠল পদ্মার 'ইলিশ পার্বণ' উৎসব

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার আনন্দধারার উদ্যোগে ইতিমধ্যেই ২৭ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে। সোমবার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাঁদের হাতে বায়োমেট্রিক ডিজিটাল পে'র সরঞ্জামও তুলে দিয়েছে জেলাশাসক আয়েষা রানি। বাকিদের হাতেও খুব দ্রুত এই পরিষেবার সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, আনন্দধারা থেকে এই ডিজিপে সখী পরিষেবার জন্য বেশকিছু মহিলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলার ৬৪ টি গ্রামপঞ্চায়েতের মহিলারা প্রথমে ব্যাঙ্কের একটি পরীক্ষা দিয়েছেন। এরপরে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে তাঁরা এক একটি গ্রামপঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকবেন। সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর, আধার নম্বর, হাতের ছাপ সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পন্ন করার পর গ্রাহকের হাতে টাকা তুলে দেবেন। এই নতুন উদ্যোগে সকলেই উপকৃত হবেন।

আরও পড়ুন- চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে, মাথায় আঘাত করে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট, চাঞ্চল্য হাওড়ায়

আরও পড়ুন- WBCS-র প্রশ্নে 'সবুজ সাথী', 'সরকার নিজের প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে', বিস্ফোরক শুভেন্দু

এবিষয়ে আয়েষা রানি বলেন, "গ্রামীণ এলাকায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ক্ষেত্রে এটাকে একটা বিপ্লব বলা যেতে পারে। এই ডিজিপে সখী পরিষেবার মাধ্যমে আমাদের মেয়েরা বাড়িতে গিয়ে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেবে। অনেক সময় গ্রামের মানুষের হাতে টাকা থাকে না, কিন্তু ব্যাঙ্কে টাকা থাকা। কিন্তু, সেই সময় হয়তো ব্যাঙ্ক বন্ধ রয়েছে। তবে তখন টাকার খুবই প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে তাঁরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আর তাঁরাই সেই টাকা ওই ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেবেন। আগামী দিনে এর মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকাও তোলা যাবে।" 

YouTube video player