সংক্ষিপ্ত
- গতকাল বিধানসভায় বাজেট পেশ হয়েছে
- বাজেটকে 'দিশাহীন' ও 'দ্বিচারিতা' বলে উল্লেখ বিজেপির
- অন্তবর্তীর সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ বাজেটের তুলনা করেন শুভেন্দু
- প্রতিশ্রুতি পূরণের ফলে বাজেট ছোটো হয়েছে, দাবি পার্থর
বুধবার বিধানসভায় পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বাজেটকে 'দিশাহীন' ও 'দ্বিচারিতা' বলে উল্লেখ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনের আগে পেশ করা অন্তবর্তী বাজেটের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ বাজেটের তুলনা করেন তিনি। তাঁর মতে, পূর্ণাঙ্গ বাজেটের তুলনায় অন্তবর্তী বাজেট অনেক বড় ছিল। তাঁর অভিযোগ, অন্তবর্তী বাজেটকে নির্বাচনী ইস্তাহার হিসেবে ব্যবহার করেছিল তৃণমূল। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রচপাল সিং, শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
বাজেট প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু বলেন, "অন্তবর্তী বাজেটে একাধিক প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করা রয়েছে। এবার পরিষদীয় মন্ত্রী বাজেট পেশ করেছে। কারণ আগে তিনি যে অসত্য কথাগুলি বলেছিলেন তা আর এবার বলতে চাইছিলেন না। সেই জন্য পরিষদীয় মন্ত্রীকে দিয়ে বলিয়েছেন। এক কথায় আমরা এই বাজেটকে দিশাহীন, দ্বিচারিতা বলতে পারি। আর অন্তবর্তীকালীন বাজেটের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ বাজেটের অনেক পার্থক্য। অন্তবর্তী বাজেটকে তৃণমূল নির্বাচনী ইস্তাহার হিসেবে ব্যবহার করেছিল বলে আমাদের মনে হচ্ছে। এই বাজেটের মধ্যে দিয়ে সরকারের দেউলিয়াপনা ও অর্থনৈতিকভাবে যে রাজ্য দুর্বল সেটা প্রমাণ হয়েছে।" পাশাপাশি এই বাজেটে সরকারি কর্মচারী, আশাকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ কারও কোনও কথা বলা হয়নি।
আরও পড়ুন- ১৭ বছর আগে পোঁতা হয়েছিল মহামারির বীজ, কোভিড সংক্রমণ নিয়ে দাবি বিজ্ঞানীদের
আগামী পাঁচ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থান তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে গতকালের রাজ্য বাজেটে। যদিও এই প্রস্তাবকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "এই বাজেটে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের কথা বলে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২ কোটি মানুষ বেকার। নিয়োগ নেই। সর্বস্তরে নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে। এই বাজেটে কর্মসংস্থানের কোনও উল্লেখ নেই। শিল্পায়নের কোনও দিশা নেই। রাজনৈতিক হতাশা ও দেউলিয়া থেকে হয়েছে এই বাজেট। বিজেপির পরিষদীয় দল এই বাজেটের তীব্র বিরোধিতা করছে।"
যদিও শুভেন্দুর অভিযোগ মানতে নারাজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "পূর্ণাঙ্গ বাজেট ছোটো তো হবেই। কারণ প্রতিশ্রুতি পালন করতে করতে তা ছোটো হয়ে গিয়েছে। ওর (শুভেন্দু অধিকারী) তো বোঝা উচিত ছিল যে যা বলেছি তা করেছি। আর কোনও নির্দিষ্ট মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে পরিষদীয় মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন। অথবা রাজ্যপালের অনুমতি সাপেক্ষে অন্য় কোনও মন্ত্রীকে যদি মন্ত্রিসভা দায়িত্ব দেয় তাহলে সেটা তিনি পালন করে থাকেন। এই ঠুনকো কাজগুলো করে ওর লাভটা কী হচ্ছে?"