সংক্ষিপ্ত

  • মুর্শিদাবাদের লালগোলার ঘটনা
  • নির্মল পঞ্চায়েতের স্বীকৃতি পেয়েছে লালগোলা
  • রথের মেলায় নেই পর্যাপ্ত শৌচাগার
  • প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

গোটা এলাকাই নাকি নির্মল পঞ্চায়েত। ঘটা করে অনুষ্ঠান করে সেকথা ঘোষণাও করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু বছর খানেকের মধ্যেই প্রমাণিত হল, ঘোষণাই সার। এখনও লালগোলা আছে লালগোলাতেই। 

একবছর আগে  কয়েক হাজার মহিলাকে নিয়ে রীতিমতো অনুষ্ঠান করে লালগোলাকে নির্মল পঞ্চায়েত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানে মহিলারা শপথ নিয়েছিলেন, খোলা আকাশের নীচে শৌচকর্ম আর নয়। কিন্তু লালগোলায় এক মাস ধরে চলতে থাকা শতাব্দী প্রাচীন রথের মেলায় পঞ্চায়েতের সেই নির্মল সম্মানই ধুলোয় মিশে গেল। 

লালগোলার এই ঐতিহ্যশালী রথের মেলায় প্রতিবছরই হাজার হাজার মানুষ আসেন। এক মাস ধরে চলে এই মেলা। স্থানীয়দের দাবি, ঐতিহ্যের বিচারে লালগোলার রথের খ্যাতি নাকি হুগলির মাহেশের রথের পরেই। এই  বিষয়ে এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা গঙ্গাদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'পুরো পিতলের  তৈরি  এই রথের সামনে ছিল পিতলের ঘোড়া, যার উচ্চতা ছিল এখনকার প্রায় দ্বিগুন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অনেক ক্ষেত্রেই তা বিদ্যুতের খুঁটির তার ছুঁয়ে ফেলত।' এখন অবশ্য রথের সেই উচ্চতা অনেকটাই কমানো হয়েছে। কিন্তু মেলায় ভিড় কমেনি। 

অথচ নির্মল পঞ্চায়েত বলে দাবি করা লালগোলার এই মেলা প্রাঙ্গনে অস্থায়ী শৌচাগারের ব্যবস্থাই করেনি জেলা প্রশাসন। ফলে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে যত্রতত্র চলছে মল, মূত্রত্যাগ। যার ফলে  দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। এক বছর আগের অবস্থাতেই যেন ফিরে যাচ্ছে লালগোলা।  

সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন লালগোলার বিডিও মহম্মদ সামসুজ্জামান। তিনি বলেন, 'ঘটনার কথা আমাদেরও কানে এসেছে। খোলা আকাশের নীচে শৌচকর্ম বন্ধ করতে ওখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক অস্থায়ী শৌচালয় তৈরি করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখছি আমরা।'