সংক্ষিপ্ত
বৃদ্ধ দম্পতির তিন কোটি হাতাতে গিয়ে পুলিশের জালে প্রতিবেশী প্রতারক। প্রতিবেশী হওয়ার সুযোগ নিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে বৃদ্ধ দম্পতির তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার সৌগত মিশ্র।
বৃদ্ধ দম্পতির তিন কোটি হাতাতে গিয়ে পুলিশের জালে প্রতিবেশী প্রতারক। প্রতিবেশী হওয়ার সুযোগ নিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে বৃদ্ধ দম্পতির তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার সৌগত মিশ্র। ধৃত ওই ব্যক্তির বয়েস ৫৬ বছর। প্রতারণাকাণ্ডে সৌগত মিশ্রকে গ্রেফতার করে বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্র মারফত খবর, সল্টলেকের এফই ব্লকে থাকেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। এদিকে পাশেই থাকতেন সৌগত মিশ্রর পরিবার। প্রতিবেশী হওয়ার সুযোগ নিয়ে বৃদ্ধ দম্পতির বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে সৌগতর পরিবার। নিজেকে ব্যাংক কর্মচারী বলে পরিচয় দিতেন ওই প্রতারক। ব্যাঙ্গালোরের সম্পত্তি বিক্রি করে সল্টলেকে এফই ব্লকে স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেন। দশটি ব্যাংক একাউন্ট ছিল। ঘটনার সূত্রপাত ৫০০০ টাকা উইথড্র করার জন্য বললে, সেই টাকা তুলে বৃদ্ধের হাতে দেয় সে। ধীরে ধীরে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে সৌগত।
আরও পড়ুন, 'দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি', মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ডে ঘটনাস্থলে ৪ সদস্যের ফরেনসিক দল
পরবর্তী সময় সুকৌশলে বৃদ্ধের কাছ থেকে চেকবুক এবং পাসবুক নিয়ে নেয় সৌগত মিশ্র। বৃদ্ধ ৫ হাজার টাকা তুলতে বললে, সেখানে ৫ লাখ টাকা তুলে নেয় সে। এই ভাবেই দিনের পর দিন একাধিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় সৌগত। পরবর্তী সময়ে পাসবুক চাইলে না দেওয়ায় সন্দেহ হয় ওই বৃদ্ধ দম্পতির। ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারে তার প্রায় তিন লক্ষ টাকা একাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেছে। বিধান নগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনার তদন্তে নেমে আইবি ব্লক থেকে সৌগত মিশ্রকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ থানার পুলিশ। বুধবার বিধান নগর আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রতারিত করা অর্থ কোথায় রেখেছে সেই সমস্ত বিষয় জানার চেষ্টা চালাবে।
আরও পড়ুন. পাহাড়ে মমতা, ফের কী কারণে রাজভবনে মুখ্যসচিব-অর্থসচিবকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল
সম্প্রতি অ্যাপের আড়ালে প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারায় জেলার বাসিন্দারা। ডিজিটাল ইণ্ডিয়ান মাধ্যমকে হাতিয়ার বানিয়ে নামী কোম্পানীর নাম ব্যবহার করে মোবাইল অ্যাপের মধ্য দিয়ে প্রতারণা। ওই প্রতারণার ছক বানিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাপিস করেছে প্রতারকরা। প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা হারিয়ে অসহায় হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অধীনস্থ আমতলার এলাকার ১২০০ মানুষ। পুলিশ সূত্রে খবর, ইনটারগ্রাফইন কোম্পানির নামে একটি মোবাইল অ্যাপ মাধ্যমে জেলায় ৪ হাজার মানুষ প্রতারিত হয়েছে।