সংক্ষিপ্ত
নিরাপত্তার স্বার্থে কাউন্সিলরের স্ত্রীর সুরক্ষার্থে পুলিশ নিরাপত্তাকর্মী দেওয়া হল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে। যা নিয়েই ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
একদিকে ঝালদায় কাউন্সিলর খুনে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতর। অন্যদিকে অবস্থা কার্যত একই পানিহাটিতে। পানিহাটির কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ লোকেদের বাড়িতে হুমকির অভিযোগ ধৃত বাপি পণ্ডিতের লোকজনদের বিরুদ্ধে। নিরাপত্তার স্বার্থে কাউন্সিলরের স্ত্রীর সুরক্ষার্থে পুলিশ নিরাপত্তাকর্মী দেওয়া হল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে। যা নিয়েই ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অনুপম দত্ত খুনের তদন্তে(Anupam Dutta murder investigation) ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের(Barrackpore Police Commissionerate) গোয়েন্দা বিভাগ সোমবার বিকেলে আসে আগরপাড়া মাতঙ্গিনী পল্লী অঞ্চলে।
ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী ধৃত বাপি পণ্ডিত থাকতেন এই মাতঙ্গিনী পল্লী এলাকাতেই। সুকান্ত স্মৃতি সংঘ সংলগ্ন মাঠের নাম বহুবার আলোচিত হয়েছে কাউন্সিলর খুনের ঘটনায়। এই খুনের ঘটনায় বর্তমান ক্লাব সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় রায় অনুপম দত্ত খুনের সাথে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে। অভিযোগ বাপি পণ্ডিতের ভাই প্রসেনজিৎ পন্ডিত হুমকি দেয় বর্তমান ক্লাব সম্পাদককে। পাশাপাশি তাঁর দাবি বাপ্পি পন্ডিতের সাথে অনুপম দত্তের সে ধরনের কোনও সংঘাত না হলেও দুজনের মধ্যে মানসিক দূরত্ব ছিল অনেকটাই। তবে এই কারমে খুনের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে এটা তিনি মানতে পারছেন না। এলাকায় এই ধরনের হুমকির জেরে মৃত কাউন্সিলার অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্তের নিরাপত্তা বাড়ানো হল। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে তন্ময় সিংহ রায় নামে এক পুলিশ কর্মীকে সোমবার থেকেই তাদের বাড়িতে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে নতুন করে চাপানউতর শুরু হয়েছে এলাকার রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের পর শনিবারই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পানিহাটি। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে সুপারি দিয়ে খুন করা হয়েছিল। এই ঘটনা যখন ঘটে তখন আততায়ীকে তাড়া করে একটি হোগলা বনের ভিতর থেকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। ধৃত আততায়ী অমিত পণ্ডিতকে জেরা করে বাপি পণ্ডিত নামে পানিহাটি পুরসভার এক ঠিকাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তীব্র চাপানাউতর শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হতে দেখা যায় বিরোধীদের। শুরু হয় জোরদার তদন্তয বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বিজেপি। যা নিয়েও বিস্তপ জলঘোলা হয়।
আরও পড়ুন- ‘গ্রেফতার করলে দোষী হয় না, আদালতে প্রমান করতে হয়’, অভিষেক ইস্যুতে ফের সরব কুণাল