সংক্ষিপ্ত
নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর রাজ্য জুড়ে শূন্যপদে ১৩ হাজার আশাকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন রাজ্যে ৫৩ হাজারের বেশি আশাকর্মী রয়েছে।
শেষ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জুড়ে গ্রামীণ মহিলাদের (village Women) আন্দোলনের বড়োসড়ো সুফল মিলতে চলেছে এবার! আশাকর্মী (Asha Staff) নিয়োগের (recruitment) তোড়জোড় শুরু করল জেলা প্রশাসন (District Administration)। প্রায় ২০০ জনেরও বেশি কর্মী নিয়োগ করা হবে বলেই বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়। কোন ব্লকে কত আশাকর্মী দরকার রয়েছে তা আগেই জানতে চাওয়া হয়। বিএমওএইচরা সেইমতো তালিকা জমা দেন। তারপরই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক অংশুল গুপ্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর রাজ্য জুড়ে শূন্যপদে ১৩ হাজার আশাকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন রাজ্যে ৫৩ হাজারের বেশি আশাকর্মী রয়েছে। তাঁরা সম্প্রতি একাধিক দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তাঁরা রাজ্যজুড়ে আন্দোলন করছেন। বিভিন্ন জেলায় স্বাস্থ্যদপ্তরে স্মারকলিপিও জমা করেছেন। মুর্শিদাবাদ জেলাতেও আন্দোলনে শামিল হন। শূন্যপদে নিয়োগের দাবিও বহুদিন ধরেই রয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক উত্তীর্ণ মহিলারা এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, কর্মী নিয়োগে স্বজনপোষণ রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাসকদলের ঘনিষ্ঠ না হলে শিঁকে ছেঁড়ে না। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চায়নি। স্বচ্ছতা বজায় রেখেই কর্মী নিয়োগ হবে বলে তারা জানিয়েছে।
বিজেপির দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক গৌরী শংকর ঘোষ বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনও নিয়োগ স্বচ্ছভাবে হয়নি। এই নিয়োগও অস্বচ্ছভাবে হবে। চাকরি দেওয়ার নামে তৃণমূল নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকা তুলবেন। যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাবেন না। এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যেতে পারে। আশা কর্মী নিয়োগে আগেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে"।
এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ হবে। কোনও একজনের সিদ্ধান্তে কিছু হবে না। তাছাড়া সরকারও স্বচ্ছভাবে নিয়োগ চাইছে। অন্যান্য জেলাতেও একইভাবেই নিয়োগ করা হবে।তৃণমূল নেতারা সাফাই দিয়ে বলছেন, নিয়োগ না হতেই বিরোধীরা অভিযোগ করতে শুরু করেছে। ওদের কাজই হল সবকিছুতে বাধা দেওয়া। কিন্তু প্রশাসনের উপর জেলার মানুষের ভরসা রয়েছে। স্বচ্ছভাবেই নিয়োগ হবে।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রতারক চক্র বহুদিন ধরেই সক্রিয় রয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তারা অনেকের কাছেই টাকা হাতিয়েছে। এমনকী ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়েও একটি চক্র প্রতারণা করে। তাদের থেকে দূরে থাকার জন্য জেলা প্রশাসন বার্তা দিয়েছে। তাঁদের দাবি, চাকরি পাওয়ার জন্য কাউকে টাকা দেওয়া উচিত নয়। কমিটির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ হবে। তাই এখন দেখার শেষ পর্যন্ত এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে ফের কোন ঘুঘুর বাসা সক্রিয় হয়ে ওঠে কিনা।