সংক্ষিপ্ত

প্রার্থী সমস্যা মেটাতে সোমবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের পতিরাম পথসাথিতে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু কোর কমিটির ২ ঘন্টার বৈঠকেও বেরিয়ে এলো না সমাধানসূত্র।

শেষ পর্যন্ত তৃণমূল ভার্সেস তৃণমূল! সর্বোচ্চ নেতৃত্বের প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় (Trinamool candidate list) পুর নির্বাচনে (Municipal Election) মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) আজিমগঞ্জ পৌরসভার বিদায়ি কাউন্সিলর পরিমল সরকারের (Parimal Sarkar) নাম না থাকায় বিক্ষোভ। তার সমর্থক, অনুগামীরা দলেরই ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অবস্থান থেকে শুরু করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল। ঘটনায় সোমবার ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। 

বিক্ষোভকারিদের দাবি পরিমল সরকারকে প্রার্থী করা না হলে পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহন করা হবে। এদিকে ওই আন্দোলনের ফলে দীর্ঘক্ষন সদর ঘাট - ফুলতলা বাস স্ট্যান্ডের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি যাতে আওতার বাইরে না যায় সেকথা মাথায় রেখে  পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হন বিক্ষোভস্থলে। 

এই ব্যাপারে তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী শাওনী সিংহ রায় বলেন, “ উনি দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর, তবে গোটা ঘটনা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। দেখা যাক রাজ্য নেতৃত্ব এখন কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।” পেশায় শিক্ষক পরিমল সরকার আজিমগঞ্জ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পরপর তিন বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিন বারই অবশ্য তিনি সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন। ওই পুরসভার অন্যান্য কাউন্সিলরের সঙ্গে ২০১৬ সালে তিনিও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল দলে যোগ দেন। 

এলাকার অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং দরদী ছেলে হিসেবে পরিচিত ওই শিক্ষক। কিন্তু কাশিগঞ্জ ওয়ার্ড এবার সংরক্ষিত মহিলা আসন হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায়, তিনি পাশের ওয়ার্ড ৮ নম্বর দেবীপুর থেকে প্রার্থী হবেন বলে স্থানীয় বাসিন্দা এবং দলীয় কর্মী সমর্থকরা ভেবে রেখেছিলেন। কিন্তু দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হতেই দেখা যায় পরিমল বাবুর নাম ওই তালিকায় নেই। সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে  সৌদুগঞ্জ অর্থাৎ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবীন নির্মল দত্তকে। এতেই বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। ফলে বাসিন্দারা পরিমলকে প্রার্থী করার দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন, ওই মিছিল দেবীপুর,কাশিগঞ্জ হয়ে সদর ঘাটে পৌছায়। 

সেখানে বিক্ষোভকারীরা রাস্তা ঘিরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর ফলে পথ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এই ব্যাপারে পরিমল সরকারের হুঁশিয়ারি, “দলের কর্মী সমর্থক তো বটেই স্থানীয়  বাসিন্দারা সমবেত হয়ে তাদের ক্ষোভের প্রকাশ করছেন। যদি  তাদের দাবি মেনে প্রার্থীপদ পুনর্বিবেচনা করা না হয়, তাহলে আগামী দিনে পৌর এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে ভোটবাক্সে এর প্রভাব পড়বে"।