সংক্ষিপ্ত

পয়গম্বর বিতর্কের জেরে বারাসাতে রেল অবরোধ। এবার হাওড়া, মুর্শিদাবাদের পর পয়গম্বর বিতর্কের ক্ষোভ ছড়াল উত্তর ২৪ পরগণায়।

পয়গম্বর বিতর্কের জেরে বারাসাতে রেল অবরোধ। এবার হাওড়া, মুর্শিদাবাদের পর পয়গম্বর বিতর্কের ক্ষোভ ছড়াল উত্তর ২৪ পরগণায়। সোমবার সকাল থেকে  উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাতে রেল অবরোধ শুরু হয়েছে। বারাসাতের কাজিপাড়ার কাছে রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন একদল বিক্ষোভকারী। যার জেরে সকাল থেকেই ব্যহত শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার ট্রেন পরিষেবা। সপ্তাহের প্রথম দিনেই চরম ভোগান্তির মুখেে যাত্রীরা।

এদিন সাতসকালেই বারাসাতের কাজিপাড়ার কাছে রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন একদল বিক্ষোভকারী।রেলট্র্যাকের উপর আঘুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ফলে আটকে পড়ে শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার ট্রেন চলাচল। সাতসকালে অবরোধের জেরে রেল যাত্রীর খুব অসুবিধার মুখোমুখি। মূলত উত্তরপ্রদেশে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার বির্তকিত মন্তব্যের জের এবার উত্তরপ্রদেশ ছাড়িয়ে বাংলায়। ইসলাম বিদ্বেষী এমন ঘটনার প্রতিবাদে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়, জাতীয় সড়কের একাংশ অবরোধের জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হয় সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে অবরোধ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর আবেদনে সাঁড়া দেয়নি বিক্ষোভকারীরা। ফের এদিন রেল অবরোধ করতেই আমজনতদের দুর্ভোগ বাড়ল।

আরও পড়ুন, 'দাঙ্গা বাধানো'- সহ একাধিক অভিযোগ, পুলিশি রদ পদলের পরেই বিরাট সংখ্যায় গ্রেফতার হাওড়ায়

প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্ম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর নুপুর শর্মার বিতর্কিত একটি মন্তব্যেই  উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের সংঘর্ষ শুরু হয়।দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন। দোকানেও ভাঙচুরও চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আধাসেনা নামাতে হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। এদিকে হাওড়াতেও সেই প্রভাব এসে পড়েছে।তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ইতিমধ্যেই উলুবেরিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে হাওড়া জেলা প্রশাসন। হিংসার প্রভাব পড়েছে মুর্শিদাবাদ-সহ উত্ত ২৪ পরগণাতেও। 

আরও পড়ুন, কেন যেতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে ? প্রশ্ন তুলে সরব রাজ্যপাল, মুখ্যসচিবকে চিঠি বিরোধী দলনেতার

মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে অবরোধ করা হয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। বিক্ষোভকারীদের সরাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বাধে। বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি চালায় বিক্ষোভকারীদের দল বলে অভিযোগ। পাল্টা বাধ্য হয়ে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশও। এমনকি অবরোধ তুলতে গিয়ে জখম হন ১২ পুলিশকর্মী পরিস্থিতি এতটাই স্পর্শকাতর হয়ে উঠছে যে, ঝুঁকি না নিয়ে হাওড়ার মতোই এবার মুর্শিদাবাদেও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানায় ঢিল ছোড়ে একদল বিক্ষোভকারী। এক মহিলার ফেসবুক পোস্টের জেরে সেখানে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সূত্রের খবর হাওড়ার হিংসা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন মুর্শিদাবাদের এক মহিলা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও বিক্ষোভকারীরা বেলডাঙা থানায় চড়াও হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন, পরের ছুটিতেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন লেপচা, পার্কসার্কাসকাণ্ডে গলা বুজে এল বোনের