সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় রাজ্যে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়া ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থীকে শিক্ষিত বেকার বলে মন্তব্য করলেন।

শনিবার একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন,‘এই যে ১২ লক্ষ ছেলে মেয়ে (মাধ্যমিক) পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে ৮৬ শতাংশ পাশ করেছে। এরা কিন্তু শিক্ষিত বেকার তৈরি হয়ে গেল। এখন গ্র্যাজুয়েশন, মাস্টার ডিগ্রি করে আর চাকরি পাওয়া যায় না। রোজ আমি যখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলি তখন ১০ জনের মধ্যে অন্তত ৫ জন আমাকে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ করেন। কোনও কোনও সংখ্যাটা এর থেকে বেশিও হয়। কী পাশ করলে মানুষ চাকরি পাবেন সেটা জানা দরকার।’ প্রসঙ্গত এদিন কারিগরী শিক্ষার উপযোগিতার বিষয়ে বলতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী। শনিবার নেতাজি ইনডোরে আয়োজিত এডুকেশন ফেয়ারে অংশ নিয়েই এমন মন্তব্য করেন শোভনবাবু। সেখানে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম এবং হুমায়ন কবির। 
এডুকেশন ফেয়ারে অংশ নিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে দাঁড়িয়ে কারিগরী শিক্ষার উপযোগিতা ব্যাখ্যা করতে গিয়েই এমন মন্তব্য মন্ত্রীর। তার এহেন মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।


তিনি আরও দাবি করেন, ১০ জন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হলে অন্তত ৫ জন তার কাছে চাকরি চান। শোভন বাবুর এই মন্তব্য পরোক্ষভাবে বিরোধী শিবিরেরই পাল্লা ভারী করলো। রাজ্যে যে চাকরির হাল বেহাল সেই কথাই মেনে নিলেন তিনি। সুযোগ পেয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ, অবশেষে নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিলেন শোভনদেববাবু।
শোভনদেববাবুর মন্তব্য শুনে বিজেপির নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘শোভনদেববাবু সত্যি কথা বলে ফেলেছেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তো তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে শিল্প হবে। কিন্তু কোথায় শিল্প? উলটে শিল্পকারখানা সব পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে পালিয়েছে। এরাজ্যে ইনফোসিস এসেছিল। যাওয়ার সময় তারা বলে গিয়েছে, আর যেখানেই যাই পশ্চিমবঙ্গে নয়। পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেউ ভালো করে পাশ করলেও কাজ কোথায়? কাজই তো নেই।’

আরও পড়ুন:

'বর্ষাকালে জল জমলে সবই জলাশয়', জমি নিয়ে কী বার্তা ফিরহাদের

কেকের মৃত্যুর জন্য দায়ী রাজ্য প্রশাসন দাবি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের বিশেষ প্রজেক্ট মোদীর, সদগুরুর সঙ্গে Save Soil অনুষ্ঠানে যোগ
শোভন বাবুর মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ' তিনি একজন প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা। দীর্ঘদিনের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। শ্রমিক আন্দোলন করেছেন। তিনি বর্তমান সমাজকে চেনেন। তাকে অভিনন্দন তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে থেকেও এই সত্যিটা স্বীকার করার জন্য। আসলে এটা একটা চ্যালেঞ্জ। অর্থনীতি বাড়ছে, যদিও পশ্চিমবঙ্গের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। কিন্তু সেই তুলনায় কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছেনা।'