সংক্ষিপ্ত
- পুরুলিয়ার স্কুলের হোস্টেল-এ মদ্যপানের অভিযোগ
- দুই ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার স্কুল কর্তৃপক্ষের
- বহিষ্কারের প্রতিবাদে হোস্টেল ছাড়ল ৩৫ জন ছাত্র
- পরে পুলিশের সাহায্যে তাদের উদ্ধার করা হয়
হোস্টেল-এর মধ্যেই মদ্যপান করছিল ছাত্ররা। হাতেনাতে তা ধরে ফেলে দুই ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হোস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে গেল দশম শ্রেণির ৩৫জন ছাত্র। শুক্রবার গভীর রাতেই হোস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে যায় তারা। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া বাঘমুন্ডির কিশোর ভারতী আশ্রম বিদ্যালয়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির এক সদস্য তথা অভিভাবক জানান, মদ্যপানের অভিযোগে দশম শ্রেণির দুই ছাত্রকে সম্প্রতি সাময়িক বহিষ্কার করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের মেনে নেয়নি অভিযুক্ত দুই পড়ুয়া সহ দশম শ্রেণির ৩৫ জন ছাত্র। শুক্রবার রাতেই হোস্টেল ছাড়ে তারা। এ দিন সকালে বাঘমুন্ডি থেকে পুরুলিয়াগামী সরকারি বাসে চড়ে বলরামপুর হয়ে পুরুলিয়া চলে আসে তারা। পরে ওই ছাত্ররা পুরুলিয়া শহরের বাজারে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে থাকে। পরে কিশোর ভারতী আশ্রম বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাঘমুন্ডি থানার পুলিশের সহায়তায় ওই ছাত্রদের পুরুলিয়া থেকে উদ্ধার করে বিদ্যালয় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন- ... বচসার কারণেই দুই ছাত্রকে শাস্তি, বিবৃতি জারি করল পুরুলিয়ার কিশোর ভারতী আশ্রম স্কুল
কিশোর ভারতী আশ্রম বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিজয় ঘোষালের অবশ্য দাবি, মদ্যপানের কোনও ঘটনা ঘটেনি। হোস্টেল- এর ভিতরে মারপিটের অভিযোগে দুই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয় বলে তাঁর দাবি। যদিও ছাত্রদের বেরিয়ে যাওয়া এবং পরে তাদের ফিরিয়ে আনার ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। বিজয় ঘোষাল জানিয়েছেন, রবিবার জরুরি বৈঠক করার পর বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কিশোর ভারতী আশ্রম বিদ্যালয় বাঘমুন্ডির নামকরা বিদ্যালয়। সেই বিদ্যালয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় অবাক এবং উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। শুধু বাঘমুন্ডি বা পুরুলিয়া জেলা নয়, রাজ্যের অন্যান্য জায়গার থেকেও বহু ছাত্র এই বিদ্যালয়ের হোস্টেল- এ থেকে পড়াশোনা করে। এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি আটকাতে কী করণীয়, জরুরি বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা।
বিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে রাতারাতি ছাত্রদের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম। যার জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে পরিচালন কমিটি এবং অভিভাবকরা। এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের হোস্টেল- এর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ওই ৩৫জন ছাত্র হোস্টেল থেকে বেরিয়ে কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তার দায় কে নিত? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক থেকে হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ কেউই।