সংক্ষিপ্ত
সুন্দরবনের পাশাপাশি আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলিও ১ অক্টোবর থেকে খুলে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বন দফতরের তরফে।
শুক্রবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারি পার্ক। এছাড়া করোনার গ্রাফ একটু নিম্নমুখী হতেই খুলে দেওয়া হয় কলকাতার চিড়িয়াখানা। আর এবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্প। সুন্দরবনের পাশাপাশি আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলিও ১ অক্টোবর থেকে খুলে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বন দফতরের তরফে।
এ প্রসঙ্গে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর তাপস দাস বলেন, "১ অক্টোবর থেকেই পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য বুকিং করতে পারবেন। তবে সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী পর্যটকদের সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।"
আরও পড়ুন- টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঘাটাল, সড়কপথে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা
করোনার জেরে মার্চ মাস থেকে বন্ধ সুন্দরবন। যার ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কারণ এই এলাকা মূলত পর্যটন নির্ভর। আর পর্যটকরা না যাওয়ার প্রভাব পড়েছিল তাদের রুটিরুজিতে। তবে দুর্গাপুজোর আগে সুন্দরন খুলে দেওয়ার ফলে খুশি তাঁরা। যদিও করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ সবাইকে মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়েছে। সবাইকে মাস্ক পরেই জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করতে হবে। বিভিন্ন প্রতিটি এলাকায় রাখা হবে নজরদারি।
আরও পড়ুন- অর্জুনের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় তৎপরতা, ড্রোন উড়িয়ে দুষ্কৃতীদের খোঁজ পুলিশের
বন দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পর্যটকদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। মাস্কের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ববিধি যাতে বজায় রাখতে হবে। জলযানগুলিকে নিয়মমাফিক স্যানিটাইজেশন করতে হবে। আর এই নিয়মগুলি সঠিকভাবে পানল করা হচ্ছে কিনা তার জন্য প্রতিটি এলাকায় নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। তবে প্রতিটি জলযানে কতজন পর্যটক উঠতে পারবেন সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
করোনার সঙ্গে কোনরকম আপস করতে চায় না ব্যাঘ্র প্রকল্প দপ্তর। কারণ স্থানীয় বাসিন্দাদের সুরক্ষার বিষয়টি তাঁদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের আয়ও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই সব কথা মাথায় রেখেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল সুন্দরবন। আর পুজোর আগে এটি খুলে দেওয়ায় পুজোর সময় সেখানে পর্যটকদের ভিড় হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।