সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের ৮ লক্ষেরও বেশি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করা রুমানা সুলতানার স্কুলেই উঠল নম্বর বিভ্রাটের অভিযোগ। ইচ্ছাকৃত কম নম্বর দেওয়া ও শিক্ষিকাদের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের যে অভিযোগ, তার তদন্ত দাবি করল শিক্ষা মহল।
রাজ্যে ৮ লক্ষেরও বেশি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে মুর্শিদাবাদের কান্দি মণীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুমানা সুলতানা। ইতিমধ্যেই, উচ্চ শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসের 'মুসলিম ছাত্রী' মন্তব্যকে ঘিরে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে। তারই স্কুলে আবার বিজ্ঞান বিভাগের অন্যান্য ছাত্রী এবং কলা বিভাগের পড়ুয়াদের ইচ্ছাকৃতভাবে প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে প্রতিবাদে সরব মুর্শিদাবাদের বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে লেখক সাহিত্যিকরা। ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে জেলার শিক্ষা মহল।
গত শনিবার, ২৪ জুলাই, উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবে কম নম্বর দেওয়া এবং শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে কান্দি মণীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন রুমানার সহপাঠী, এমনকী তাদের অভিভাবকরাও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বিদ্যালয় চত্বরে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের প্রথম হওয়ার ছাত্রীর স্কুলে এমন অভিযোগ ঘিরে রীতিমতো হইচই পড়েছে জেলার সর্বত্র। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করলেও, ছাত্রী ও অভিভাবকদের গুরুতর অভিযোগের তদন্ত হওয়া উচিত বলে মত জেলার শিক্ষা মহলের।
আরও পড়ুন - কবিতা লেখাকে সঙ্গী করেই উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯৯, বঙ্গ কন্যা রুমানা এবার একক প্রথম
আরও পড়ুন - উচ্চমাধ্যমিকে বেশি নম্বর পাওয়ার শাস্তি, ছাত্রীকে রেজাল্ট দিল না স্কুল
আরও পড়ুন - 'বাড়াতে হবে নম্বর', স্কুলের আসবাব ভেঙে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
বিক্ষোভকারী ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ করেছেন, বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়াদের ও কলা বিভাগের ছাত্রীদের প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়া হয়েছে, এমনকী কলা বিভাগের ছাত্রীদের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় অনেককে শূন্যও দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা ভাল দিয়েও, কম নম্বর পাওয়ার অভিযোগও করেছেন অনেকেই। পড়ুয়াদের দাবি, ইচ্ছা করেই কম নম্বর দিয়েছেন শিক্ষিকারা। গত শনিবার বিক্ষোভকারীরা স্কুলের ভিতরে পর্যন্ত ঢুকে পড়েছিলেন। বিক্ষোভকারী ছাত্রীদের আরও অভিযোগ, পদার্থবিদ্যার কোন প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস না হওয়ার ফলে ওই বিষয়ে গড়ে নম্বর দেওয়া হয়েছে। প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ার ফলে কলেদে ভর্তির ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়তে হবে তাদের। নম্বর কম দেওয়ার পাশাপাশি 'সবুজ সাথী' প্রকল্পের সাইকেলও বিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
সবুজ সাথীর সাইকেল না দিতে পারার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অদিতি সিংহ রায়। তবে কাউকে ইচ্ছা করে কম নম্বর বা শূন্য দেওয়া হয়নি বলেই দাবি করেছেন তিনি। এমনকী, অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে এসে ছাত্রীদের খাতা দেখে যাওয়ার চ্যালেঞ্জও করেছেন তিনি।