বিকাল ৫ টা বাজতেই ভোট কেন্দ্র তালা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী বিকাল ৫ টার পর ভোট কেন্দ্রে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না সেই মতই পুলিশের তরফ থেকে বন্ধ করে দেয়া হল বিধান নগর ১২ নম্বর ওয়ার্ড নোয়াপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র।
- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- পুরভোটে আসানসোলে বুথ দখল করতে চলল 'শূন্য গুলি', তৃণমূল-বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতি বিধাননগরে
পুরভোটে আসানসোলে বুথ দখল করতে চলল 'শূন্য গুলি', তৃণমূল-বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতি বিধাননগরে
আজ চার পুরনিগমে ভোট। বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি ও চন্দননগর পুরনিগমের ভোটে অশান্তি রুখতে ও অবাধ ভোট করাতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা। আর নির্বাচনের আগে সব বুথগুলিকেই স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে নিরাপত্তার বিষয়টিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আজ ৯ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে। যার মধ্যে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে সাড়ে পাঁচ হাজার। আর সবথেকে বেশি নজর রাখা হবে বিধাননগরে। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল যে ২২ জানুয়ারি ভোট হবে। কিন্তু, করোনার দাপটে পিছিয়ে যায় ভোটের দিনক্ষণ। পরে কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, ২২ জানুয়ারির পরিবর্তে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে চার পুরনিগমে। সেই মতোই সুষ্ঠভাবে নির্বাচন করাতে কয়েকদিন আগে থেকেই তৎপর নির্বাচন কমিশন।
- FB
- TW
- Linkdin
বিজেপি প্রার্থীরা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছে। ওরা উত্তেজনা করছে এবং ওরাই চার জনকে নিয়ে বুথে ঢুকছে বলে অভিযোগ তোলেন এদিন রাজ্যের মন্ত্রী। এরপর বরাবরের মতোই এদিনও বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। ফিরহাদ বলেন, নাচতে না জানলে উঠোন বেকা। কিছু কিছু জায়গা বিজেপি প্রার্থীরা নাটক করছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট অনুযায়ী শান্তিপুর ভাবে ভোট দিচ্ছে। মানুষ নিজের গণতান্ত্রিকভাবে তাঁদের অধিকার প্রয়োগ করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পুলিশকে কড়া পদেক্ষেপ নিতে বলেছেন।
শাসক শিবির চার পুরভোট শান্তিপূর্ণ দাবি করলেও মানতে নারাজ বামফ্রন্ট। তাঁদের কথায়,' চার পুরভোটে অবাধে চলেছে ভোট লুঠ। কোথাও ভয় ভীতি প্রদর্শন পাশপাশি শাসকের নির্দেশে অবাধ বহিরাগত প্রবেশ ঘটেছে। বিষয় গুলি কমিশনের নজরে আনা হয়েছে। তাই বামফ্রন্টের দাবি জানানো হয়েছে, বাকি সময়ে যে টুকু ভোট দান হবে, তার জন্য কমিশন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।'
পুরভোট চলাকালীন উত্তাল কমবেশি চার কেন্দ্রই। আসানসোলে ইতিমধ্যেই শূন্যে গুলি ছোড়া হয়েছে। প্রার্থীর মাথা ফাঁটানোর অভিযোগ। এহেন মুহূর্তে দিলীপ ঘোষ বলেচেন, 'তৃণমূল ক্যাডারের মত কাজ করছে পুলিশ ।'
আসনসোল পুরভোটে ( Asansol Municipal Corporation Election 2022 ) ছাপ্পাভোটের অভিযোগ তুললেন অগ্নিমিত্রা পাল। তবে এখানেই শেষ নয়, মারধর, পোশাক টেনে ধরা-সহ একাধিক ইস্যুতে অিভিযোগ তুললেন অগ্নিমিত্রা। কার্যত হাতের বাইরে চলে গিয়েছে আসানসোল পুরভোট, অভিযোগ বিজেপি নেত্রীর ।
বিধাননগর পৌর নিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভগবতী দেবী বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। ভোট দিয়ে বেরোনোর পর তৃনমুল প্রার্থী সব্যসাচী দত্তের সাথে আলাপচারিতার পর কোলাকুলি করতে দেখা গেল। তারপর বিজেপি প্রার্থী দেবাশীষ জানার সাথে সৌজন্য বিনিময় করেন জয়প্রকাশ মজুমদার। ভোট দেওয়ার পর বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা ও তৃনমুল প্রার্থী সব্যসাচী দত্তের কোলাকুলি অন্য ছবির দেখা মিলল বিধাননগরে।
বিধাননগর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড হাতিয়াড়া হাই মাদ্রাসা স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ ভোটারদের। পুলিশ গিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে রাস্তার উপর থেকে সরিয়ে দেয়। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয় বেআইনিভাবে কেউ যদি জামায়াত করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিধাননগর পৌর নিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড এর বি ই কমিউনিটি হলে ভোট চলছে। তৃনমূলের প্রার্থী সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে দেখা হলো বিজেপির দেবাশীষ জানার। দীর্ঘদিনের সতীর্থ দুজনে। দেখা হলো কিন্তু দুজনের কথা হলো না। একদিকে গাছের নিচে সব্যসাচী দত্তকে দেখা গেলো চেয়ারে বসে থাকতে। আর কিছুটা দূরে দেবাশীষ জানা দাঁড়িয়ে কাটালেন বেশ কিছুক্ষণ। তারপর দেবাশীষ জানা সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
পুরভোটে আসানসোলে বুথ দখল করতে চলল 'শূন্য গুলি'। আসানসোলের জামুড়িয়ার ১২ নং ওয়ার্ডে শ্রীপুর হাইস্কুলের বুথে গুলি চালানোর অভিযোগ।
বিধান নগর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড হাতিয়াড়া হাই মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে বহিরাগতদের হাতাহাতি। অভিযোগ, বহিরাগতরা বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা করছিল ভোটাররা। প্রতিবাদ করতে গেলে বচসা। এরপর পুলিশের সঙ্গেও হাতাহাতি শুরু হয় বলে অভিযোগ।
চন্দননগর পুরনিগম এর ৩২ টি ওয়ার্ডে নির্বিঘ্নেই ভোট চলছিল। তবে বেলা বাড়তেই অভিযোগ ওঠে চন্দননগরে।চন্দননগরের ৩২ নং ওয়ার্ডের বিটি কলেজে, ভোটারদের প্রভাবিত করছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি এবং সিপিএম পার্থীরা। পাশাপাশি চন্দননগরের ওয়ার্ড নং ৫ বুথ নং ৪৭, ৪৮ গঙ্গা মাতা স্কুল তৃণমূল জমায়েত করেছে এবং ভোটারকে প্রভাবিত করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। চন্দননগরের কাটাপুকুর এলাকার চার নং ওয়ার্ডের নেতাজি বিদ্যাপিঠ স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রানী মিত্র।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৩১ ও ৩২ নম্বর বুথ দখলের অভিযোগ করল বিজেপি। একইসঙ্গে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রে প্রচুর লোকজন ঢুকে লুটপাট শুরু করেছে বলেও অভিযোগ। একাধিক ওয়ার্ড থেকে বিজেপি-র পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসছে। ৫০, ৫১, ৫২,৫৩ নম্বর বুথ দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী নিরাঞ্জনা সিংয়ের। অন্যদিকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী অরুণ কুমার হাইত বলেন, "সকাল সাড়ে দশটায় নারায়নতলা এফ পি স্কুলে ভুয়ো ভোটার ধরায় তৃণমূলের গুণ্ডারা আমাকে ও মহাজনকে মারধর করে। পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ভোট কেন্দ্রে বড় ভয়াভয় অবস্থা।"
শিলিগুড়ি- ২৮%
আসানসোল- ৩০%
চন্দননগর- ২৬%
বিধাননগর- ৩০%
বিধাননগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা। এলাকার মানুষদের মারধরের অভিযোগ সিপিআইএমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থী অনিতা মণ্ডলের। সিপিআইএমের দাবি বহিরাগত আটকাতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীরা সিপিআইএম কর্মীদের উপর হামলা করে।
বিধাননগর পৌরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তেজনা খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। কংগ্রেস প্রার্থীর অভিযোগ সকাল থেকে অনবরত চলছে ছাপ্পা প্রশাসনকে বলেও কোন লাভ হয়নি
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটিতে বাথরুম থেকে ফলস ভোটার ধরেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশীষ জানা। তিনি ভুয়ো ভোটারদের তাড়াও করেন বলে জানা যায়। একজন আটক।
আসানসোলের ১৫ নং ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্রের ভিতরেই প্রচুর সংখ্যক তৃণমূল সমর্থক থাকার অভিযোগ উঠেছে। যা কিনা ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ। এছাড়া আসানসোলের ৯৩ নং, ৬২ নং, ৬৫ নং ওয়ার্ডে গুরুতর অভিযোগ। আসানসোলের ৯৩ নং, ৬২ নং, ৬৫ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডারা ভোটকেন্দ্র ঘিরে রেখেছে বলে অভিযোগ।
আসানসোলের ৯৩ নং, ৬২ নং, ৬৫ নং ওয়ার্ডে গুরুতর অভিযোগ। আসানসোলের ৯৩ নং, ৬২ নং, ৬৫ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডারা ভোটকেন্দ্র ঘিরে রেখেছে বলে অভিযোগ।
১০ নম্বর ওয়ার্ড বাগুইআটি ভিআইপি রোড মেকানিক্যাল কমপ্লেক্সে একটা অশান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ওখানে প্রচুর লোকজন জমা হয়েছে PWD থেকে শাস্ত্রী বাগান মোড় পর্যন্ত।ভোটকেন্দ্রে প্রচুর লোকজন ঢুকে লুটপাট শুরু করেছে বলে অভিযোগ প্রার্থী অমর দত্তের।
চন্দননগরের একাধিক ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। চন্দননগরের ওয়ার্ড নং ৫ বুথ নং ৪৭, ৪৮ গঙ্গা মাতা স্কুল তৃণমূল জমায়েত করেছে ভোটারকে প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।