সংক্ষিপ্ত
গত ২০ মে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই নিয়ম অনুযায়ী, ৪ নভেম্বরের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করতে হবে রাজ্যের অর্থসচিব এবং মুখ্যসচিবকে।
আগামী ৪ নভেম্বর, শুক্রবারের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। এই নিয়ে কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে জল্পনা।
হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স) মিটিয়ে দেওয়ার জন্য কোষাগারের টান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে বঙ্গ প্রশাসন। ৪ নভেম্বর 'ডেডলাইন' দিয়ে দিয়েছে আদালত। বিশেষ সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন মারফৎ জানা গেছে যে, কর্মীদের দাবি এবং হাইকোর্টের চাপের পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মিটিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে চলতি সপ্তাহের শুক্রবারের আগেই কোনও বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে নবান্ন।
সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৪ নভেম্বর, অর্থাৎ, বিচারপতির নির্দেশ মেনে আসন্ন শুক্রবারের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স বা ডিএ প্রদান নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তারপর সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে রাজ্য সরকার।
গত ২০ মে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই নিয়ম অনুযায়ী, ৪ নভেম্বরের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করতে হবে রাজ্যের অর্থসচিব এবং মুখ্যসচিবকে। আদালতকে তাঁদের জানাতে হবে যে, বিচারপতির নির্দেশের পরও ১৯ অগস্টের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে না দেওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে না।
ডিএ মামলায় এখনও পর্যন্ত রাজ্যের হাতে দুটি বিকল্প আছে। ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্যের দাখিল করা রিভিউ পিটিশন খারিজ করে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ২০ মে তারিখে দেওয়া রায়ই বহাল থাকছে। অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারের কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই অনুযায়ী রাজ্য সরকারের একটি বিকল্প হল, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সমস্ত কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া। অন্যটি হল, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার। ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া নিয়ে সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রেখেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। ইতিমধ্যে শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করে এসেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিনটি সংগঠন।
আরও পড়ুন-
‘সামনে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, পেছনে চলছে পুতিনকে পদচ্যুত করার ফন্দি’, ফাঁস করল ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা দফতর
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ভাঙলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?
জগদ্ধাত্রী পুজোতেও সারারাত মিলবে লোকাল ট্রেন, চন্দননগরের আলোকসজ্জা দেখতে আরও বাড়তে পারে যাত্রীদের ভিড়