সংক্ষিপ্ত
প্রাথমিকের প্রায় ২ লক্ষ বই চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই মামলার রিপোর্ট আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদকে।
একটি বা দুটি নয়, প্রায় ২ লক্ষ বই চুরি হয়ে গিয়েছে। সেই মামলার শুনানি হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানি বড় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টে। মামলার শুনানি হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। এদিন আদালতে বই চুরির সম্পূর্ণ রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে।
প্রাথমিকের প্রায় ২ লক্ষ বই চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই মামলার রিপোর্ট আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদকে। ২০২২ সালে উত্তর দিনাজপুরের একটি গোডাউন থেকে প্রায় ২ বই চুরি হয়েছিল। পুলিশ দুই জনকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কিন্তু এই ঘটনায় স্থানীয় প্রাথমিক স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। তারা সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন।
মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রায় ২ লক্ষ প্রাইমারি স্কুলের বই । স্কুল ইনস্পেক্টরের থেকে চুরি হয়ে যায় । প্রায় ৩ কোটি টাকার বই । মাত্র ৩০ হাজার বই পরে উদ্ধার করেছে পুলিশ । ঘটনার প্রায় দু'বছর হয়ে গিয়েছে । কিন্তু প্রকৃত দোষী কে বা এর পেছনে কারা রয়েছে, তা এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ । এর তদন্ত প্রয়োজন । অন্যদিকে, রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্য, অভিযুক্ত দু'জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে । গত বছরের ৩০ নভেম্বর চার্জশিট দেওয়া হয় । কিন্তু মামলাকারীর বক্তব্য, এটা শুধু দু'জনের কাজ নয় । এর পেছনে বড় চক্র রয়েছে । একই বক্তব্য কলকাতা হইকোর্টেরও।
এই মামলাতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, 'তদন্ত নতুন করে শুরু করলে আরও দেরি হয়ে যাবে। দুই অভিযুক্তই জামিন রেয়ে গেছে। আমরা পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাইব। কারণ মাত্র দুই জন এই চুরি করতে পারে না। 'এদিন কলকাতা হাইকোর্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষ সংসদকে - ঠিক কত বউ চুরি হয়েছে, ছাত্ররা নতুন বই পেয়ে কি না- তার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।