সংক্ষিপ্ত
এদিন সেলিমের বক্তব্যের পরই মিনাক্ষী বুদ্ধদের ভট্টাচার্যের পাঠান বার্তা পাঠ করেন। তিনি প্রথমেই বলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছিলেন ডিওয়াইএফআই-র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
বামেদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই -এর ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রা শেষ হয়েছিল গত ২২ ডিসেম্বর। তারপরই পূর্ব নির্ধারিত ইনসাফ সমাবেশ হয় রবিবার ব্রিগেডে। ভিড়ে ঠাসা ব্রিগেড- কিছুটা হলেও অক্সিজেন নিয়েছে ভোট যুদ্ধে শূণ্যে পৌঁছানো সিপিএম নেতাদের। এদিন ব্রিগেডের মুখ ছিল যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। কিন্তু ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করেন মহম্মদ সেলিম। তিনি রাজ্যের দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন।
মহম্মদ সেলিম বলেন, বিচারপতি অমৃতি সিনহা বলেছেন, অভিষেকের সংস্থার সম্পত্তি বেড়েছে ২০১৪ সালের পর থেকে। তাতেই স্পষ্ট কেন্দ্রের ক্ষমতায় মোদী আসার পর থেকেই এই রাজ্যে ভাইপোর বাড়বাড়ন্ত। তিনি আরও বলেন, 'চৌকিদারই চোর হয়ে গেছে। তাই চুরি রোখার জন্য কেউ নেই।' এদিন সেলিম বলেন, আরএসএস-এর ব্লুপ্রিন্ট অনুযায়ী এই রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপ কাজ করছে। এদিন সেলিম বলেন এটা ভবিষ্যতের জন্য লড়াই। এই লড়াইয়ে কোনও জাত ধর্ম কিছুই নেই।
সেলিম রাজ্যের দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন। তিনি বলেন 'এক কাকুর গলার স্বরের নমুনা নিতে ৬ মাস লাগল। তাহলে পিসির গলার স্বর বন্ধ করতে কতদিন লাগবে।' তিনি আরও অভিযোগ করেন দেশ বা রাজ্য নয়, নিজের পরিবার রক্ষার স্বার্থেই কাজ করেছেন মমতা। তিনি কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছ থেকে ১০০ দিনের কাজের হিসেবও চান।
এদিন সেলিমের বক্তব্যের পরই মীনাক্ষী বুদ্ধদের ভট্টাচার্যের পাঠান বার্তা পাঠ করেন। তিনি প্রথমেই বলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছিলেন ডিওয়াইএফআই-র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। গতকাল রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন মিনাক্ষীরা। বুদ্ধদের বার্তা,
'ব্রিগেডের সমাবেশ সাফল্যমণ্ডিত হবে।' সভাশেষে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠও করেন সমাবেশে উপস্থিত জনতা।