সংক্ষিপ্ত
ব্রাত্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিহত ছাত্রের পরিবারকে সমবেদনা জানাতেই এই প্রতিনিধি দল নদিয়া যাচ্ছে। প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্য হল তাদের দল ও সরকার যে সর্বতোভাব নিহত ছাত্রের পরিবারের পাশে রয়েছে তা জানান।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি নিহতের মাকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ' মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি দেখছেন, ছেলের মৃত্যুর বিচার পাবেন।'ব্রাত্য ছাড়াও প্রতিনিধি দলে রয়েছে কাকলি ঘোষ দোস্তিদার, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সায়নী ঘোষ। তবে নদিয়ার বগুলায় রওনা দেওয়ার আগে ব্রাত্য একহাত নেন যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাম ছাত্রদের।
ব্রাত্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিহত ছাত্রের পরিবারকে সমবেদনা জানাতেই এই প্রতিনিধি দল নদিয়া যাচ্ছে। প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্য হল তাদের দল ও সরকার যে সর্বতোভাব নিহত ছাত্রের পরিবারের পাশে রয়েছে, সেই বার্তা দেওয়া। তিনি আরও বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দলগত ও সরকারগতভাবে পরিবারের পাশে থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করছে। কিন্তু এই ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনের পর দিন নৈরাজ্যকে পশ্রয় দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন বছর ছয়েক আগে তৈরি হওয়া হোক কলরবের নেতৃত্বরা আজ কোথায়? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তারা কতটা কনসার্ন? তিনি আরও বলেন, যদবপুর প্রথম প্রান্তনীদের নিয়ে একটা সিএসআর তহবিল গঠন করেছিল। হোক করলবের নেতৃত্বরা সেখানে কতটা অনুদান হিসেবে পাঠিয়েছে তা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দেখলেই বোঝা যাবে। তিনি আরও বলেন, প্রাক্তনীদের বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্র, শিক্ষকের ওপর কোনও দরদ আর সম্মান নেই। পাশাপাশি তিনি বামেদের নিশানা করে বলেন, মফঃস্বলের ছেলে যখন পড়তে এলে ভাল ইংরেজি না জানলেই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া হয়। তাদের দলনেত্রীর ওপর শ্রদ্ধা থাকলে অত্যাচার করা হয়। যাদবপুরে একাংশের মধ্যে এমনই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। সেখানে স্তালিনের নাম না করতে অত্যাচারিত হতে হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও পাল্টা উত্তর দিয়েছেন এসএফআই-এর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, হোক কলরবের নেতা ছিলেন তন্ময় ঘোষ। তিনি এখন তৃণমূলের মুখপাত্র। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা কারা সেই পরিচয় তাঁর কাছে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে এদিন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সামনেই স্বপ্নদীপের মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁকে ঘিরে ধরে শান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূলের মহিলা প্রতিনিধিরা। সায়নী ঘোষ মহিলার পায়ের কছে বসেই তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। নিহতের মা বলেন, তাঁর ছেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে চাইত। বারবার জিজ্ঞসা করত, সেখানে তাঁকে ভর্তি করা হবে কিনা। চান্স পেয়েও খুব খুশি হয়েছিল। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা আঁচ করতে পারেননি বলেও জানিয়েছেন। তারপরই ব্রাত্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি দেখছে তাই কেউ ছাড়া পাবে না। স্বপ্নদীপের ভাইয়ের পাশাপাশোনার বিষয়টি তাঁরা দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ
'মণিপুরে শান্তি ফিরতে পারে না', কেন এমন কথা বলছেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ
পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সমস্যা মিটবে? টানা ২ দিনের ম্যারাথন সামরিক বৈঠক সেনা কর্তাদের
যাদবপুরকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে রাজভবনে জরুরি তলব সিভি আনন্দ বোসের, কাল বিকেলে বৈঠক