সংক্ষিপ্ত
এবারের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন অন্যান্য রাজ্যগুলির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে নতুন মোড় নিয়েছে সংরক্ষণ-বিতর্ক।
২০১০ সালের পর থেকে জারি হওয়া অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির শংসাপত্র বাতিল করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের তীব্র সমালোচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দিঘিতে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। তাঁর অভিযোগ, 'মুসলিমদের সঙ্গে তপশিলিদের দাঙ্গা বাঁধিয়ে দেওয়ার জন্যই ওবিসি সার্টিফিকেট ক্যানসেল করা হয়েছে। ভোটের মধ্যে ওরা দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছে। সংবিধানে তপশিলিদের সংরক্ষণের কথা বাবা সাহেব আম্বেদকর করে গিয়েছেন। এটা বাতিল করার ক্ষমতা কারও নেই। মোদীবাবু, অমিত শাহ আর ওদের বন্ধু সিপিএম-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যাচ্ছি।'
আদালতের রায় মানতে নারাজ মমতা
রায়দিঘির জনসভায় ফের মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির শংসাপত্র বাতিল করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় মানতে নারাজ। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো বলেছেন, 'এই রায় মানি না। কারণ, এই রায়ের কোনও ভিত্তি নেই। বিজেপি-সিপিএম-এর কথাতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে।' মমতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে চলেছে রাজ্য সরকার।
কেন বাতিল শংসাপত্র?
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ রায় দিয়েছে, ২০১২ সালে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি সংক্রান্ত বিধি বাতিল করা হচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই বিধি জারি করার মাধ্যমে ১৯৯৩ সালের অনগ্রসর শ্রেণি সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জারি করা বিধি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ক্ষুব্ধ মমতা। তাঁর দাবি, এই রায়ের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। এই কারণেই বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি আদালতের রায়ের তীব্র সমালোচনা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
২০১০ সালের পর তৈরি ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল, আদালতের রায়ের তীব্র প্রতিবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ওবিসি রিজার্ভেশন বাতিল করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট, ট্রিপল টেস্ট ফর্মুলাতে আটকে যোগী সরকার