সংক্ষিপ্ত

রবিবার সাংবাদিক সম্মেলেনে আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী হিসেবে মিলি ওঁরাওকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সেলিম জানিয়েছেন, আরএসপি-র প্রতীকে লড়বেন বামফ্রন্ট প্রার্থী।

 

প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ হবে রাজ্যের তিন কেন্দ্রে। বামদের প্রথম প্রার্থী তালিকায় প্রথম দফার কেন্দ্রগুলির মধ্যে দুটির নাম থাকলেও একটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। রবিবার সিপিআই(এম)এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সেই একটি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়েও বড় কথা বলেছেন। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশাপাশি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন।

আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যের তিন কেন্দ্রে নির্বাচন। সেই দিন ভোট গ্রহণ হবে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি আর আলিপুর দুয়ারে। আগেই দুই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলেনে আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী হিসেবে মিলি ওঁরাওকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সেলিম জানিয়েছেন, আরএসপি-র প্রতীকে লড়বেন বামফ্রন্ট প্রার্থী। প্রথম দফার আরও দুই বাম প্রার্থী হলেন, কোচবিহারের নীতিশচন্দ্র দেবনাথ ও জলপাইগুড়ির দেবরাজ বর্মন।

TMC: 'প্রতিবেশীর কাছে দলের কথা বলতে লজ্জা পায় তৃণমূল কর্মীরা', মন্তব্য করে বিপাকে নারায়ণ গোস্বামী

এদিন সাংবাদিক সম্মলেন সেলিম রাজ্যের বাম - কংগ্রেস জোট নিয়েও কথা বলেন। তিনি জোট নিয়ে কিছুটা কটাক্ষ করেন। বলেন, জোটের অবস্থা পুজোর আগে দর্জির দোকানের সেলাইয়ের মত। তাঁর কথায়, 'রাজ্যে আমরা এখন বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী শক্তিগুলিকে একত্র করে সেলাই করার কাজ করছি। সেলাই হয়ে গেলেই জানতে পারবে।' জোট নিয়ে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের এখনও রফা হয়নি। আর সেই কারণে মহারাষ্ট্রে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকেও উপস্থিত থাকবে না সিপিএম ও সিপিআই প্রতিনিধি। যদিও সীতারাম ইয়েচুরি আর ডি রাজার ব্যস্ততার কথাও বলেছে প্রকাশ্যে। কিন্তু এই রাজ্যে জোটের অপেক্ষায় বামেরা দীর্ঘ দিন বসেছিল। তাতে এখনও কোনও সাড়া দেয়নি কংগ্রেস। তাতেই বামেদের গোঁসা!

Lok Sabha Election: আপনার ভোট কবে? রাজ্যের কোন কেন্দ্রে কবে ভোট দেখুন ছবিতে

অন্যদিকে এদিন নির্বাচনী বন্ডের আরও একটি তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই নিয়েও সেলিম বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, মহম্মদ সেলিম বলেন বিজ্ঞাপণের মোড়কে দুর্নীতিকে চাপা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে কাটমানি আর কেন্দ্রে নির্বাচনী বন্ড। বিজেপি তোলাবাজিকে আইন সম্মত করেছে বলেও অভিযোগ। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ আইন মানা হচ্ছে না উন্নয়নের নামে। বরাত পাওয়া আর পরিবেশের ক্ষতির জন্যই নির্বাচনী বন্ডকে কাজে লাগিয়েছে বিজেপি। তিনি আরও বলেন, সবথেকে বেশি টাকা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে টাকা তুলেছে বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি বলেন এই বন্ডের মাধ্যমে আবাধে লুঠ করা হয়েছে দেশের সম্পদ।

Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষের হাতে কি থাকবে মেদিনীপুর? শুভেন্দু-সুকান্তকে দিল্লিতে জরুরি তলব বিজেপির