সংক্ষিপ্ত
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে সেইভাবে দাগ কাটতে পারেনি দল। কিন্তু তবুও যেন হাল ছাড়তে নারাজ প্রবীণ যোদ্ধারা। কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বামেরা? ছাত্রদের সভায় এসে বললেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে সেইভাবে দাগ কাটতে পারেনি দল। কিন্তু তবুও যেন হাল ছাড়তে নারাজ প্রবীণ যোদ্ধারা। কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বামেরা? ছাত্রদের সভায় এসে বললেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
চব্বিশের লোকসভা ভোটে (Loksabha Election 2024) পশ্চিমবঙ্গে একটিও আসন পায়নি বামেরা। কার্যত ভরাডুবি। কৌশলগত ভুল নাকি সংসদীয় রাজনীতিতে থাকার জন্য সময়ের সঙ্গে আরও বদল প্রয়োজন। উঠছে একাধিক প্রশ্ন। আর এইসব কিছুর মাঝেই নিজেদের অবস্থান এবং বার্তা স্পষ্ট করলেন দুই বাম নেতা মহম্মদ সেলিম (Md. Salim) এবং সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।
প্রসঙ্গত, মহম্মদ সেলিম এবারের ভোটে লড়েন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) কেন্দ্র থেকে। আর সুজন চক্রবর্তী লড়েন দমদম (Dum Dum) আসন থেকে। পরাজিত হলেও বেশ ভালো লড়াই দেন দুজনেই। এবার তাদের মুখেই শোনা গেল হারের ব্যাখ্যা এবং ঘুরে দাঁড়ানোর উপায়।
শনিবার, সিপিএম-এর (CPM) ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর (SFI) মুখপত্র ‘ছাত্রসংগ্রাম’ পত্রিকার ৫৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে মৌলালি যুব কেন্দ্রে ‘অনিল বিশ্বাস স্মারক বক্তৃতা’ নামক একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানেই বক্তব্য রাখেন এই দুই বাম নেতা।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই মুহূর্তে পার্টির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং দলের ছাত্র ফ্রন্টের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর কথায়, “বিজেপিকে হারানোর জন্য রাজ্যের মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। আবার তৃণমূলকে হারাতে অনেকেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। এ কথা সত্যি যে, দেখা যাচ্ছে মানুষ আসলে বিজেপিকে হারাতে চাইছেন। কিন্তু আবার তৃণমূলকেও হারাতে চাইছেন।”
অন্যদিকে, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সেলিম বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “বামপন্থীদের পক্ষ থেকে যতটা সাফল্য আশা করা গেছিল, তা বাস্তবে হয়নি। সৃজন, সুজন, সেলিম, দীপ্সিতাদের মিছিলে বিপুল পরিমাণ মানুষ এসেছিল এবং আমরাও আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু ভোটের ফলে তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে বিজেপি যে উগ্র জাতীয়তাবাদের পথে হেঁটেছিল, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কেউ বলছেন আমরা শূন্য, কেউ আবার নামের আগে লিখছেন হার্মাদ। এগুলো আসলে কোনও কাজের কথা নয়। অতিরিক্ত উৎসাহের ফলাফল।” তবে বক্তব্য রাখার সময়, ছাত্র-যুবদের উৎসাহিত করেন তিনি। তাঁর কথায় বারবার উঠে আসে, ছাত্ররাই ভবিষ্যৎ। ছাত্র-যুবদের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে সামনের দিকে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাই বলেন সেলিম।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।