সংক্ষিপ্ত
কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় শাসকদলের শীর্ষ নেতামন্ত্রীদের সঙ্গেও মোলাকাত করার চেষ্টা করেছিলেন মুকুল। সেই অভীপ্সা পূর্ণ না হলেও আজ, ২১ জুলাই, ধর্মতলায় আয়োজিত তৃণমূলের শহিদ দিবসের জনসভায় ফের নয়া খেল দেখালেন তিনি।
বারবার তিনি ছেড়ে গেছেন, বারবার তিনি ফিরে এসেছেন। ঘাসফুল থেকে পদ্মফুলে, ভ্রমরের মতো ঘুরে বেরিয়েছেন দক্ষ রাজনীতিক মুকুল রায়। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাবার পরেও কয়েক মাস আগেই সোজা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লিতে উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সাথে সংযোগ করে কেন্দ্রীয় শাসকদলের শীর্ষ নেতামন্ত্রীদের সঙ্গেও মোলাকাত করার চেষ্টা করেছিলেন মুকুল। সেই অভীপ্সা পূর্ণ না হলেও আজ, ২১ জুলাই, ধর্মতলায় আয়োজিত তৃণমূলের শহিদ দিবসের জনসভায় ফের নয়া খেল দেখালেন তিনি।
শুক্রবার ঝমঝমে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে দলের কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পর মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠেছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সায়নী ঘোষকে কেন্দ্র সরকারি এজেন্সির তলব নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে চাপানউতোর তুঙ্গে, তার পাশাপাশি ঠিক ১ বছর আগে ২১ জুলাইয়ের দু দিন পরেই যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে আলোচনা চলছে প্রবল, তখন হঠাতই দীর্ঘদিনের অবগুণ্ঠন ছেড়ে আলোচনার সম্মুখে উঠে এলেন মুকুল রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শেষ হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে তৃণমূলে তাঁর প্রত্যাবর্তন নজরে আসে।
তবে, এদিন মুকুল একা নন, সঙ্গে ছিলেন তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও। তিনি সভাস্থলে উপস্থিত হতেই দলের বহু নেতা কর্মী তাঁর দিকে এগিয়ে যান এবং তাঁর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তরে বিধায়ক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন মুকুল। এরপর আবার তিনি ফিরে গিয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন দল তৃণমূলের কাছে। সেই সময়ে এই তুখোড় রাজনীতিককে সাদরে বরণ করে নিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে মস্তিষ্কের রোগে ভুগতে থাকার পর কলকাতার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করিয়েই হঠাৎ ভোল পালটে যায় মুকুলের। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি স্পষ্ট জানান যে, তিনি বিজেপির টিকিটেই বিধায়ক হয়েছিলেন এবং এখনও বিজেপিতেই আছেন।
কলকাতা বিমানবন্দর ছেড়ে আচমকা দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন মুকুল রায়। সূত্রের খবর, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সাথে যোগাযোগ করে বিজেপির শীর্ষ নেতা অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডার সঙ্গেও মোলাকাত করার চেষ্টা করেছিলেন মুকুল। কিন্তু, সেই সফরে তাঁর সেই অভীপ্সা পূর্ণ হয়নি। তারপর মুকুল কোথায় গেলেন, তার খোঁজও খুব-একটা রাখেননি বাংলার মানুষ। কিন্তু, হঠাতই ২০২৩-এর একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে একেবারে সমাপতন পর্বে তিনি ‘চমক’ হয়ে দেখা দিলেন দলের কর্মী সমর্থকদের মাঝে।
আরও পড়ুন-
Mamata Banerjee Speech: বিজেপি সরকারকে ব্যাপকভাবে আক্রমণ, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রণমূর্তি
Saayoni Ghosh TMC: ‘এই মাথা কাটা যাবে, কিন্তু নীচে ঝুঁকবে না’, একুশের শহিদ সমাবেশ থেকে বার্তা দিলেন সায়নী ঘোষ
21 July: একুশে জুলাই ডিম-ভাতেই শেষ নয়, কলকাতার জনপথে কোচবিহারের তৃণমূলীদের বিশেষ পান