সংক্ষিপ্ত

দিঘা থেকে উদ্ধার করা হয় মুসাভির হুসেন শাজিব এবং আবদুল মতিন তাহা নামের এই দুই জঙ্গিকে।

বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে দুই মূল সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয় এই দুই জঙ্গিকে। দিঘা থেকে উদ্ধার করা হয় মুসাভির হুসেন শাজিব এবং আবদুল মতিন তাহা নামের এই দুই জঙ্গিকে।

বাংলায় ঢোকার ২ ঘণ্টার মধ্যে জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কোচবিহারের নির্বাচনী সভায় এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করল বিজেপি। শুক্রবার বিজেপি কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে দলের রাজ্য নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্য পুলিশ যদি এতই সক্রিয় হয় তাহলে জঙ্গিরা দিঘার হোটেলে ঢোকার আগে গত কযেকদিন ধরে নাম ভাঁড়িয়ে রাজ্যের একাধিক জায়গায় থাকার সময়ে রাজ্য পুলিশ কেন তাঁদের ট্রেস পেল না?"

বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণ কাণ্ডে দিঘা থেকে ধৃত এই দুই জঙ্গি কাদের ভরসায় বাংলায় এসেছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন জগন্নাথ। তাঁর কথায়, “গত মাস খােক ধরে এই জঙ্গিদের খোঁজে দেশজুড়ে হন্যে হয়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। ফলে জঙ্গিরা দেশের বাইরে পালাতে পারেনি। তবে নিশ্চয়ই কারও ভরসায় তাঁরা কলকাতায় এসেছিল। এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের কাছে কি সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য ছিল। জঙ্গিদের গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত এই জয়েন্ট অপারেশন সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী কি বিন্দু বিসর্গ কিছু জানতেন, নাকি দু'জন গ্রেফতার হয়ে এনআইএ হেফাজতে চলে যাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে খবর দেওয়া হয়।"

অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "রাজ্য পুলিশের সহযোগিতাতেই যে এনআইএ -র এই অভিযান তা তো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে স্বীকারও করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের কৃতিত্বের এই খবরেও বিজেপির গ্রাত্রজ্বালা কীসের? আসলে যেন তেন প্রকারেণ বাংলার বদনাম করাটাই বিজেপির একমাত্র উদ্দেশ্য।"