সংক্ষিপ্ত
সুপ্রিম কোর্টে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার ক্রমতালিকা ১।
সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে বসে রয়েছে রাজ্যে ওয়াই চ্যানেলের আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। কারণ আগামিকাল, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে উঠতে চলেছে রাজ্যের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলা। আন্দোলনকারীদের কথা যোগ্য আর অযোগ্যদের আলাদা করতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগবে। কিন্তু তা করা হচ্ছে। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা আরও বলেছেন, অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের পাপের বোঝা তারা আর বইতে পারবেন না।
সুপ্রিম কোর্টে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার ক্রমতালিকা ১। অর্থাৎ সকাল ১০.৩০এ মামলার শুনানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে। আগে ছিল প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। আগের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন মেটা ডেটা খুঁজে বের করা না গেলে যোগ্য এবং অযোগ্য তালিকা বাছাই করতে পারব না। আদালত আরও বলেছিল 'যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না-গেলে পুরো প্যানেল বাতিল বাতিল করতে হবে।'
স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না আগেই বলেছিলেন, 'আমরা দুটি বিষয়ে বিবেচনা করব। অহেতুক বিষয়ে নিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি করব না।' এদিন প্রধান বিচারপতি কোন দুটি বিষয় বিবেচনা করা হবে তাও জানিয়ে দেন। তিনি বলেছেন, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, নাকি, বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে শুধুমাত্র তাদেরই বাতিল করা হবে- এই দুটি মূল বিষয় আদালত বিবেচনা করবে। যার অর্থ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে কিছু মানুষের চাকরি যেতে পারে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে বেশ কিছু ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র উদ্ধার করেছিল সিবিআই। কিন্তু সেই ওএমআর শিটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী। তাঁর সওয়াল , এই সব নথির ৬৫বি ধারায় যাচাই করা হয়নি। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, এই বিষয়টি গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা নেই। হাইকোর্টেও বিষয়টি বলা হয়েছিল। হাইকোর্ট বিবেচনা করেই রায় দিয়েছে। তাঁর মন্তব্য 'অহেতুক একাধিক বিষয় এই মধ্যে ঢুকিয়ে তা জটিল করবেন না। অত্যন্ত লিমিটেড ইস্যু। তাই নিয়েই শুনানি হবে।'
গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায় দিয়েছিল। যার কারণে একধাক্কায় ২৫৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। কলকাতা হাইকোর্ট চাকরি বাতিলের রায়ের পাশাপাশি যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছিল ওই চাকরিপ্রাপকদের। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশও। গত বৃহস্পতিবার এই মামলারই শুনানি ছিল। কিন্তু সেই শুনানিতে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সকল পক্ষকে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এদিন মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগমী বৃহস্পিতিবার এই মামলার শুনানি হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।