সংক্ষিপ্ত
আবারও সরকারি নিয়োগের সম্ভাবনা।
কলকাতার রাজপথে এবার বেশি সংখ্যায় সরকারি বাস নামাতে চাইছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। তাই এবার পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের প্রস্তাব মেনে ৮৭৫ জন চালক এবং কন্ডাক্টরকে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ (West Bengal Government Recruitment) করার অনুমোদন দিতে চলেছে নবান্ন।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে চলেছে। যদিও এখনই দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগম (SBSTC) এবং উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমকে (NBSTC) চালক এবং কন্ডাক্টর নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না বক্লে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতার রাস্তায় বাস না থাকার বিষয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে আগেই সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর এই বাস পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে রাস্তায় নেমেছিলেন খোদ পরিবহণমন্ত্রী নিজেও।
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগম জানিয়ে দিয়েছে, চাইলেই পথে সরকারি বাস বাড়ানো সম্ভব নয়। কারণ, অনেকক্ষেত্রেই বাস থাকলেও চালক এবং কন্ডাক্টরের অভাব দেখা যায়। তাই কে চালাবে? সেই প্রশ্নও বারবার উঠে আসে (West Bengal Government Job News)।
উল্লেখ্য, লকডাউনের পর থেকেই চুক্তির ভিত্তিতে চালক ও কন্ডাক্টার নিয়োগ করা যায়নি। তাছাড়া প্রত্যেক মাসে গড়ে ১৫ জন চালক এবং কন্ডাক্টার অবসর নিচ্ছেন। অন্যদিকে, বয়স্ক চালক ও কন্ডাক্টর দিয়েও বাস চালানো সম্ভব নয়। তাই এক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে ট্রিপ বাড়ানোর কথা জানানো হয়। এক্ষেত্রেও আরেক সমস্যা তৈরি হয় জ্বালানি নিয়ে।
জানা গেছে, শুধু সিএসটিসি-র কাছে এই মুহূর্তে ডিজেলের দাম বাবদ পাওনা রয়েছে মোট তিন কোটি টাকা। পথে বাস না নামলে টিকিট বিক্রি হবে না, তাই প্রশ্ন উঠছে তেলের দাম আসবে কোথা থেকে? এছাড়াও রয়েছে কর্মীদের বেতন। রাজ্য সরকার নিগমের কর্মচারীদের বেতনের ৯০% দিলেও বাকি ১০% মেটানো হচ্ছে টিকিট বিক্রি থেকে হওয়া আয় থেকে।
ফলে, এখন বাসের রক্ষণাবেক্ষণ প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের এই যুক্তি শোনার পর রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ও সচিব এজেন্সির মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক চালক এবং কন্ডাক্টর নিয়োগের কথা নবান্নের নজরে আনেন। এই নিয়োগে সায় দিয়েছে অর্থ দফতরও। যদিও এসবিএসটিসিতে ৮২৪ জন এবং এনবিএসটিসিতে ২০০ জন চালক ও কন্ডাক্টর নিয়োগের প্রস্তাবে এখনই সায় দেয়নি নবান্ন (Nabanna)।
এই প্রসঙ্গে এসবিএসটিসি চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল জানিয়েছেন, এখন প্রত্যেকদিন ৬৫০টি বাস পথে নামানো হচ্ছে। তবে তাদের লক্ষ্য সংখ্যাটা হাজারে নিয়ে যাওয়া। দক্ষিণবঙ্গের প্রত্যন্ত এলাকায় বাস পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই তাদের প্রয়োজন মোট ১,৩৩০ জন চালক। কিন্তু তাদের হাতে রয়েছেন ৮৮০ জন চালক এবং ৯৫৬ জন কন্ডাক্টর। তাই তাদের প্রয়োজন আরও ৪৫০ জন চালক এবং ৩৭৪ জন কন্ডাক্টর।
ওদিকে লোকের অভাবে এনবিএসটিসি বয়স্ক ২০৯ জন কন্ডাক্টরকে অফিসের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে। এছাড়াও ১০০ জন চালককে ছোট গাড়ি, গ্যারেজ এবং ওয়াশিং ইনচার্জের কাজে যুক্ত করা হয়েছে। নিগম আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রত্যেকদিন ৭০০ বাস রাস্তায় নামাতে গেলে ২০০ জন চালক আর কন্ডাক্টর দরকার।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।