- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- গঙ্গাসাগরের মেলাকে বঞ্চনা ছাড়া কোনওদিনই কিছু দেয়নি কেন্দ্র, ক্ষোভ উগরে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন মমতার
গঙ্গাসাগরের মেলাকে বঞ্চনা ছাড়া কোনওদিনই কিছু দেয়নি কেন্দ্র, ক্ষোভ উগরে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন মমতার
- FB
- TW
- Linkdin
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে গঙ্গাসাগরে তিনটি হেলিপ্যাড, কাকদ্বীপের কামারহাট সেতু এবং তীর্থযাত্রীদের জন্য কপিল মুনি আশ্রমের কাছে একটি একতলা ভবন উদ্বোধন হল।
এদিন মমতা বলেন কুম্ভ মেলা যে সব এলাকায় সেখানে রেল, সড়ক ও বিমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভাল। কিন্তু গঙ্গাসাগরে পুর্ণ্যার্থীদের আসতে হয় জল পেরিয়ে। আগে এ জন্য মানুষ আসতে পারত না। এলে অনেকে ফিরতে পারত না। কিন্তু এখন আর ততটা অসুবিধা নেই। আমরা গত কয়েক বছর ধরে পু্ণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন এখানে মুড়িগঙ্গার উপর ব্রিজ করতে পারলে খুব ভাল হয়। কিন্তু এর জন্য বিপুল অঙ্কের টাকার দরকার। কেন্দ্রকে এ ব্যাপারে বললেও কেন্দ্র গা করেনি। আমরা মুড়িগঙ্গার উপর ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা করছি। আমরা নিজেরাই চেষ্টা করছি।
গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনে রাজ্য সরকার কতটা নিয়োজিত সে কথাও উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনার অভিযোগও তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে মমতার দাবি, “গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করার জন্য আমি কেন্দ্রের কাছে অনেক বার আবেদন করেছি। কুম্ভ মেলার সমস্ত খরচা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু গঙ্গাসাগরে একটা বাতাসা দিয়েও উপকার করে না। পুরো খরচ রাজ্যের।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, গঙ্গাসাগর মেলা চলাকালীন অর্থাৎ ৮ থেকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে সেখানে কোনও মানুষ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালে তাঁর পরিজনরা পাঁচ লাখ টাকার জীবনবিমা পেতে চলেছেন পরিবারের জন্য।
প্রকল্প উদ্বোধনের পর তিনি বলেন, “এই বছর গঙ্গাসাগর মেলায় নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অডিয়ো ভিসুয়ালের মাধ্যমে এখান থেকেই দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ি, কালীমন্দির, তারাপীঠ, তারকেশ্বরের দর্শন করা সম্ভব হবে। ৬৫ লাখ টাকা খরচ করে গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে।”
এই প্রকল্পগুলি উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘে। সেখানে গিয়ে কম্বল বিতরণ করেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্যোগে ভারত সেবাশ্রম সংঘের ভূমিকার প্রশংসা শোনা গিয়েছে মমতার গলায়।
ভারত সেবাশ্রম থেকে মুখ্যমন্ত্রী যান কপিল মুনির আশ্রমে। সেখানে গিয়ে পুজো দেন তিনি। মেলাপ্রাঙ্গনকে আলোকজ্জ্বল করতে বিশেষ আলোর ব্যবস্থাও উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, রাজ্যের করা তীর্থ কর মকুবের বিষয়টিও তুলেছেন তিনি।
আগামী ১৪ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে পৌষ সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান। এই বছর সাগরে রেকর্ড ভিড় হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। গত দুই বছর ধরে কোভিডের কারণে একাধিক বিধিনিষেধ লাগু ছিল সাগরে। কিন্তু, এই বছর কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সেক্ষেত্রে ভিড়ও গত বছরের তুলনায় বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।