সংক্ষিপ্ত
- সদিচ্ছার জোরে অসাধ্য সাধন
- দু'দিনেই জোগাড় হয়ে গেল লক্ষাধিক টাকা
- করোনা ত্রাণে অর্থসাহায্য ছয় বন্ধুর
- বর্ধমানের ঘটনা
কেউ সরকারি চাকরি করেন, কেউ আবার বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তবে সকলেই যে রোজগার করেন, এমনটা নয়। আড্ডার দলে ভিড়ে গিয়েছেন বেকাররাও। কিন্তু তাতে কী! স্রেফ সদিচ্ছার জোরে করোনা ত্রাণের জন্য লক্ষাধিক টাকা তুলে ফেললেন বর্ধমান ছ'জন যুবক। সেই টাকা তুলে দিলেন জেলাশাসকের হাতে।
আরও পড়ুন: সঞ্চিত টাকায় ভবঘুরেদের খাওয়ার ব্যবস্থা, নিজে হাতে পরিবেশনও করলেন ছাপোষা গৃহবধূ
অয়ন দাঁ, অয়ন চ্যাটার্জী শুভাশিস ঘোষ, শুভজিৎ রক্ষিত, রাকেশ হাটি, দেবরাজ বাসু। রোজ সন্ধ্যায় কাজ সেরে ছয় বন্ধু জড়ো হতেন বর্ধমান সংস্কৃতি মঞ্চের পাশে। জমিয়ে আড্ডা দিতেন চায়ের দোকানে। কিন্তু লকডাউনের কারণে এখন সেই আড্ডায় ছেদ পড়েছে। বাড়িতে কার্যত বন্দি হয়েই দিন কাটছে অয়ন, শুভাশিষ, শুভজিতদের। ঘরে বসেই ওই ছয় যুবক ঠিক করে ফেলেন, করোনা ত্রাণে কিছুটা একটা করতে হবে। হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুকে মাধ্যমে নিজেদের বন্ধু-পরিচিতদের কাছে অর্থ সাহায্য চান তাঁরা। পরিকল্পনা ছিল, সামান্য় যা টাকা উঠবে, তার সবটাই দান করে দেবেন রাজ্য সরকারের এর্মাজেন্সি রিলিফ ফান্ড বা আপদকালীন ত্রাণ তহবিলে। কিন্তু ওই যে কথা বলে না, ভালো কাজে কখনও টাকার অভাব হয় না! বাস্তবে ঘটেছে তেমনটাই। মাত্র দু'দিনের জোগাড় হয়ে গিয়েছে ১ লক্ষেরও বেশি টাকা!
আরও পড়ুন: মারণ ভাইরাস ঢুকল হাওড়ার বাগনানে, সংক্রমিত ক্যানসার আক্রান্ত মহিলা
আরও পড়ুন: পাড়ায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ, খাস কলকাতাতেই রাস্তা আটকালেন স্থানীয়েরা
বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের হাতে ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকার চেক তুলে দিলেন অয়ন, শুভাশিস, শুভজিৎ রাকেশ, ও দেবরাজ। স্রেফ টাকাই নয়, আগামী দিনে করোনা ত্রাণে খাদ্যসামগ্রীও দান করার পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। লকডাউনও মেনে চলছেন সকলেই। যেদিন থেকে লকডাউন জারি হয়েছে, সেদিন থেকে বাড়ির বাইরে বেরোননি কেউই। জেলাশাসকের দপ্তর থেকে যে যাঁর বাড়ি ফিরে গিয়েছেন, আর আপাতত ঘরেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন ওই ছয় যুবক।