সংক্ষিপ্ত
- করোনা আতঙ্কের মাঝে নয়া বিতর্ক
- পিপিই ডাস্টবিনে 'ফেলে দিলেন' চিকিৎসকরাই
- অভিযুক্তরা সরকারি হাসপাতালে কর্মরত
- বিতর্ক তুঙ্গে বীরভূমে
কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রোগীদের দেখেছেনে তাঁরা। বাইরে বেরিয়েই করোনা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পোশাক বা পিপিই ডাস্টবিনে 'ফেলে দিলেন' সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরাই! বিতর্ক তুঙ্গে বীরভূমের রামপুরহাটে। ঘটনাটি স্বাস্থ্য দপ্তরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আধিকারিক সুজয় মিস্ত্রি।
ভিনরাজ্যের যুবকের মৃত্যুর পর রাতারাতি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডটি বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। করোনা সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তারাপীঠ লাগোয়া একটি বিলাসবহুল হোটেল। রবিবার সকালে তাঁদের দেখতে যান রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে পাঁচ চিকিৎসক। থার্মাল টেস্টিং বা শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয় রোগীদের। যখন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে বেরোচ্ছিলেন, তখন চিকিৎসকরা পিপিই ডাস্টবিলে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। ঘটনার রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। কোয়ারেন্টাইনে সেন্টারে যান হাসপাতালের এমএসভিপি, ডেপুটি সুপার, এমনকী রামপুরহাটের মহকুমাশাসক ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিকরাও। চিকিৎসকের কাজের নিন্দা করেন সকলেই। মহকুমাশাসকের সঙ্গে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাদানুবাদও হয়।
আরও পড়ুন: বাংলার ৭ জেলায় লকডাউন লঙ্ঘন করা হচ্ছে, রাজ্যকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের হিসেবে ৩৩৯, রাজ্য় বলছে করোনো আক্রান্ত ২৪৫
কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে বেরিয়ে যে তাঁরা পিপিই ফেলে দেন, সেকথা স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসকদের অন্যতম সমীর কুমার সিনহা। তাঁর সাফাই, 'বাইরে বেরিয়ে পোশাক কোথায় রাখব, জিজ্ঞেস করেছিলাম। কিন্তু কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা কিছু বলতে পারেননি। তাই গাড়ি ওঠার আগে পোশাকগুলি ডাস্টবিনে ফেলে দিই।' পোশাকগুলি যথারীতি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই পিপিই বা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ঢাকা এই বিশেষ পোশাক পরে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ২ লক্ষ পিপিই-র বরাত দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। কিন্তু, সরকারি হাসপাতালগুলিতে পিপিই-র নামে করে যে বস্তুটি পাঠানো হয়েছে, সেগুলি সস্তার রেনকোট ছাড়া আর কিছুই নয়। তেমনই অভিযোগ করেছিলেন চিকিৎসকরা। এই নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিপাকে পড়েন চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খান। রাতের বেলার তাঁকে পুলিশে থানায় তুলে যায় বলে অভিযোগ।