Anubrata mandal -

অনুব্রত মণ্ডলের লটারি কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় সিবিআই । তারা জানতে পারে অনুব্রত মণ্ডল হুমকি দিয়ে টিকিট কেড়ে নেয় , তারই তদন্তে শান্তিনিকেতনে ডেকে পাঠায় লটারি প্রাপক নূর আলিকে ।

শনিবার দীর্ঘ ৩৭ দিন পর গোরুপাচার মামলার শুনানিতে আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিন আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজির হন তৃণমূলের এর দাপুটে নেতা।

শুরু থেকেই তদন্তকারী সংস্থার নজরে ছিল বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতার বিপুল সম্পত্তি। তদন্তের আওয়াতায় এসেছে কেষ্ট-কন্যার সম্পত্তিও। সিবিআইয়ের পর এবার এই ইডির নজরে সুকন্যা।

বৃহস্পতিবার সকালে বন্দিদের জন্য ভাইফোঁটায় আয়োজন করেছিল জেল কর্তৃপক্ষ। জেলের ভিজিটরস রুমে বন্দিদের অনেকেই ফোঁটা নিয়েছেন। জেলবন্দি ভাইদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বোন ও দিদিদের। ফোঁটা দেওয়ার পাশাপাশি দিদি ও বোনেরা ভাইদের হাতে মিষ্টি বা পায়েস তুলে দিয়েছিল।

কয়েক দিন আগে সুকন্যার সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেমক ফুড প্রাইভেট লিমিটেডকে একটি নোটিশ ধরিয়েছে সিবিআই।আর সেই কারণেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুকন্যাকে ডেকে পাঠায়। কিন্তু সুকন্যা ভিন রাজ্যে থাকার কথা বলে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে।

প্রিয় ভক্তের অবর্তমানে শ্যামা মায়ের পুজোর কী ব্যবস্থা হবে, তা নিয়ে চলছিল জোর চর্চা। এবছর জেলা কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা নিয়ে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।

এত দিন অনুব্রতের সম্পূর্ণ দেখভাল করত সায়গল হোসেন। প্রত্যেকদিন নিয়ম মতো ঘড়ির কাঁটা মেপে নেতাকে ওষুধ খাওয়ানো, নেবুলাইজ়ার দেওয়া, সব কিছুতে কড়া নজর থাকত সায়গলের।

বীরভূমে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতি নিয়ে রীতিমত আক্ষেপ করলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন জোর করে কাউকে জেলে আটকে রাখা যায় না। বিচার ব্যবস্থায় আস্থা রয়েছে তৃণমূলের।

গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে আসানসোল জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। গত সাত অক্টোবর টানা জেরার পর তাঁকে জেলবন্দি অবস্থাতেই গ্রেফতার করে ইডি। এরপরই সায়গলকে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি।

বিশ্বজ্যোতিই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে জানিয়েছেন যে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি তাঁর নামে নথিভুক্ত থাকলেও, সেটি নিয়ন্ত্রণ করতেন অনুব্রত মণ্ডল আর সায়গল হোসেন।