পিছিয়ে পাঁচ মন্ত্রী, কৃষক সমস্যাকে অবহেলা, বিদর্ভে লাড্ডু মিলছে না বিজেপি-শিবসেনার

  • মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোট এগিয়ে ১৬০টিরও বেশি আসনে
  • কিন্তু তাদের বিশিষ্ট পাঁচ মন্ত্রী নিজ নিজ কেন্দ্রে পিছিয়ে আছেন
  • বিদর্ভেও জোর ধাক্কা খাচ্ছে শাসক দল
  • কৃষক সমস্যাকে অবহেলা করার ফল পাচ্ছে ফড়নবিশ সরকার

amartya lahiri | Published : Oct 24, 2019 6:45 AM IST

মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৮৮। আর সরকার গড়ার ম্য়াজিক সংখ্যা ১৪৫। বেলা বারোটা পর্যন্ত ভোট গণনার প্রবণতার বলছে ইতিমধ্যেই সেই সংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে বিজেপি-শিবসেনা জোট। তবে এই গেরুয়া সুনামিকর মধ্যেও পিছিয়ে রয়েছেন ফড়নবিশ মন্ত্রীসভার ছয় বিশিষ্ট মন্ত্রী। একইসঙ্গে কৃষক অধ্যুষিত বিদর্ভেও বড় ধাক্কা খেতে চলেছে বিজেপি-শিবসেনা জোট।

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী মহারাষ্টে এই মুহূর্তে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১০১টি আসনে, আর সঙ্গী শিবসেনা ৬৪টি আসনে। অপরদিকে এনসিপি এগিয়ে ৫২টি আসনে, কংগ্রেস মাত্র ৩৯টি আসনে।

এই দারুণ জয়ের আবহের মধ্যেও অন্তত মহারাষ্ট্রের পাঁচজন বিশিষ্ট বিজেপি মন্ত্রী পিছিয়ে রয়েছেন। এঁরা হলেন পঙ্কজা মুন্ডে (পরলি), রাম শিন্ডে (করজত জামখেদ), অতুল সাভে (আওরঙ্গাবাদ), বালা ভেগড়ে (মাভাল), এবং মদন ইয়েরাওয়ার (যবতমল) নিজ নিজ নির্বাচনী কেন্দ্রে পিছিয়ে আছেন।

এর সঙ্গে সঙ্গে কৃষিপ্রধান এলাকা বিদর্ভেও বেশ ধাক্কা খেতে চলেছে বিজেপি-শিবসেনা, এখনও পর্যন্ত এরকমই ইঙ্গিত মিলেছে। ২০১৪ সালে এই এলাকার বেশিরভাগ আসনেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি-শিবসেনা। এইবার এই সাঁওতাল-অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি ২০টি আসনে ও শিবসেনা ২টি আসনে পিছিয়ে আছে। শেষ পর্যন্ত যদি এই আসনগুলিতে জয় আসেও ভোটের ব্যবধান অনেকটাই কমবে। গত কয়েকবছরে এখানকার কৃষিজীবী মানুষ দারুণ সঙ্কটে রয়েছেন। যা নিয়ে বারবার সরকারের কাছে দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি। তারই প্রভাব ইভিএম-এ পড়েছে বলে মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা। কাজেই রাজ্যের সদর দফতরে যতই লাড্ডু বিতরণের প্রস্তুতি হোক, বিদর্ভে অন্তত সেি সুযোগ নিলছে না শিবসেনা-বিজেপির।

Share this article
click me!