উপনির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে পরোক্ষে জনগণকেই কটাক্ষ করলেন কর্ণাটকের অন্যতম সিনিয়র কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার। তাঁর মতে, মানুষ বিশ্বাসঘাতকদেরই বিশ্বাস করেছেন।
কর্ণাটকে পনেরোটি আসনে উপনির্বাচন হয়। এ দিনই তার ফলপ্রকাশ হওয়ার কথা। পনেরোটির মধ্যে বারোটি আসনেই ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। তিনটিতে ক্ষমতায় ছিল কর্ণাটকে তাদের জোটসঙ্গী জেডিএস।
কিন্তু ভোট গণনা শুরু হতেই দেখা যায়, পরের পর আসনে এগিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী। কয়েক রাউন্ড গণনার পরই পরিষ্কার হয়ে যায় যে কর্ণাটকে ক্ষমতায় ফেরার কংগ্রেসের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে বিজেপি-কে অন্তত ছ'টি আসনে জিততেই হতো। কিন্তু ভোটের ফলে দেখা যায় সকাল এগারোটা পর্যন্ত অন্তত এগারোটি আসনে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই আগে কংগ্রেসে ছিলেন। কিন্তু গত জুলাই মাসে এঁরা প্রত্যেকেই কংগ্রেস এবং জেডিএস ছেড়ে বিজেপি শিবিরে যোগ দেন। যার ফলে কর্ণাটকে কংগ্রেস- জেডিএস জোট সরকারের পতন ঘটে।
আরও পড়ুন- কর্ণাটক উপনির্বাচনে বড় জয়ের ইঙ্গিত, মহারাষ্ট্রের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি
আরও পড়ুন- Live Results- কর্ণাটক উপনির্বাচনে ১২ আসনে এগিয়ে বিজেপি, কংগ্রেস ২
সেই প্রসঙ্গ তুলেই কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার বলেন, 'মানুষের রায়ের সঙ্গে একমত না হয়ে উপায় নেই। মানুষ বিশ্বাসঘাতকদের উপরেই আস্থা রেখেছেন। আমরা পরাজয় স্বীকার করছি। কিন্তু এই ফলে হতাশ হওয়ার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।'
বিজেপি শিবির আবার পাল্টা এই ফলকে হাতিয়ার করে মহারাষ্ট্র নিয়ে কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনা-কে খোঁচা দিয়েছে। বিজেপি-র আইটি সেল-এর প্রধান অমিত মালব্য টুইট করে বলেন, 'এই রায়েই স্পষ্ট জনমতকে উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করলে তার ফল কী হয়।'
প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্র নির্বাচনে সবথেকে বেশি আসন পেয়েও শিবসেনার সঙ্গে বিবাদের জেরে ক্ষমতা হাতছাড়া হয় বিজেপি-র। বিজেপি-কে ধাক্কা দিয়ে শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি-র জোট সরকার সেখানে ক্ষমতা দখল করে। কর্ণাটকে যেন তারই কিছুটা জবাব দিল গেরুয়া শিবির।