প্রার্থী না করায় নেড়া হলেন মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী, দলবদলের বাজারে ব্যতিক্রমী ঘটনা

নির্বাচনের আগে দলীয় টিকিট পাওয়া নিয়ে চলছে কাড়াকাড়ি

টিকিট না পেয়ে অনেকেই দল ছাড়ছেন বা বদলাচ্ছেন

এবার মাথার চুল কামিয়ে ফেললেন কংগ্রেস সভানেত্রী

অবশ্য তিনি বাংলার নন, কেরলের মানুষ

 

amartya lahiri | Published : Mar 15, 2021 9:52 AM IST

নির্বাচনের আগে বাংলায় দলীয় টিকিট পাওয়া নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি চলছে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে। কেউ টিকিট না পেয়ে কিংবা পছন্দের আসন না পেয়ে দল ছাড়ছেন বা বদলাচ্ছেন। কেউ প্রকাশ্যেই ভেউ ভেউ করে চোখের জলে ভেসে যাচ্ছেন। কেউ আবার খেপে উঠে নিজেরই কার্যালয় ভাঙচুর করছেন, রাস্তা অবরোধ করছেন। এই বাজারে একটু ব্যতিক্রমীভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। টিকিট না পেয়ে মাথার চুল কামিয়ে ফেললেন তিনি। অবশ্য তিনি বাংলার নন, কেরলের মানুষ।

৬ এপ্রিল কেরলে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। রবিবারই, আসন্ন নির্বাচনের জন্য নয়াদিল্লি থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন কেরল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মোল্লাপ্প্লি রামচন্দ্রন। দেখা যায়, এটুমন্নুর আসন থেকে প্রার্থী করা হয়নি মহিলা কংগ্রেস সভাপতি লতিকা সুভাষ-কে। এরপরই, টিকিট না পাওয়ার প্রতিবাদে রাজ্যের এই বিশিষ্ট কংগ্রেস নেত্রী দলের রাজ্য সদর য় কার্যালয় ইন্দিরা ভবন-এর সামনেই বসে মাথা কামিয়ে ফেলেন। ফলে, এমনিতেই আসন্ন নির্বাচনে বামফ্রন্টের থেকে অনেক পিছিয়ে থাকা কংগ্রেস চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে।  

বাংলায়, দলের টিকিট না পেয়ে দলবদল করা এখন জলভাত হয়ে গেলেও, কেরলে এখনও আদর্শ মেনে দল করাই দস্তুর। সেখানে নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কোনও নেতা, এমনটা বিরল। তবে লতিকা সুভাষ মানতে চাননি এই প্রতিবাদ তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তাঁর দাবি, এটুমন্নুর আসন থেকে প্রার্থী করা হয়নি বলে নয়, কেরলে কংগ্রেস খুবই অল্পসংখ্যক মহিলাকে প্রার্থী করেছে। তিনি, চুল কামিয়ে তারই প্রতিবাদ করেছেন।

কেরলে এখনো পর্যন্ত ৮৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমান চান্ডি, বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা রমেশ চেনিথালা থেকে শুরুকরে কেরল কংগ্রেসের সব বিশিষ্ট নেতারাই এবারও প্রার্থী হচ্ছেন। রামচন্দ্রনের দাবি করেছেন, এই প্রার্থীদের তালিকা তৈরি হয়েছে রাহুল গান্ধীর ইচ্ছানুসারে। আসন্ন নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে কংগ্রেস আত্মবিশ্বাসী। তবে, এখনও পর্যন্ত হওয়া সবকটি জনমত সমীক্ষার ফলই অন্য কথা বলছে। এইবার ইতিহাস তৈরি করে পরপর দুই মেয়াদে থাকতে চলেছে বাম সরকার, এমনটাই আভাস পাওয়া গিয়েছে।   

 

Share this article
click me!