সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকাল ৬টায় শেষ হল হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। আর তারপরই ভোটদানের প্রবণতা তুলে দিল বড় প্রশ্ন, ষতই ভোটদানে উৎসাহ দিক ভারতের নির্বাচন কমিশন, ক্রমেই কি ভারতীয়রা ভোটদানে উৎসাহ হারাচ্ছেন? অন্তত দুই রাজ্যের ভোটদানে হার সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
নির্বাচনের কমিশনের ওয়েবসাইটে সন্ধ্যা ৭.১৫-য় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভোটদান পর্ব শেষ হওয়ার সময় হরিয়ানা রাজ্যে ভোট পড়েছে ৬৩.৫৫ শতাংশ আর মহারাষ্ট্রে মাত্র ৫৬.৬৫ শতাংশ মানুষ তাদের মত প্রকাশ করেছেন ইভিএম-এ। দুটি রাজ্যের ক্ষেত্রেই এটা সর্বনিম্ন ভোটদানের রেকর্ড।
হরিয়ানায় ১৯৬৮ সালে শেষ বার এইরকম কম ভোট পড়তে দেখা গিয়েছিল। সেই বার ৫৭.২৬ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। আর মহারাষ্ট্রে ১৯৮০ সালে পড়েছিল ৫৩.৩ শতাংশ ভোট। তারপর থেকে কিন্তু দুই রাজ্যেই বেশ ভালোই ছিল ভোটদানের হার। ২০১৯ লোকসভা ভোটেও হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে যথাক্রমে ৭০.৩৪ শতাংশ ও ৬১.০২ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
২০১৪ সালের বিধানসভা ভোটে কিন্তু ছবিটা অন্যরকম ছিল। হরিয়ানা রাজ্যের ইতিহাসে সবথেকে বেশি ভোটদানের রেকর্ড হয়েছিল। সেইবার এই রাজ্যে ভোট পড়েছিল ৭৬.১৩ শতাংশ। তার থেকে এইবার ১২.৫৮ শতাংশ ভোট কম পড়েছে। আর মহারাষ্ট্রে ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৩.০৮ শতাংশ। এইবার তার থেকে ভোটদানের হার কমেছে ৬.৪৩ শতাংশ।
হরিয়ানায় সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে বাদশাপুর ও পানিপত সিটি-তে, মাত্র ৪৫ শতাংশ। এরপর রয়েছে ফরিদাবাদ (৪৮.২%) ও পতৌদি (৫০%)। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে কম ভোটদান হয়েছে উল্লাসনগরে। এখানে এদিন ভোট পড়েছে মাত্র ৩১.৭২ শতাংশ। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কেন্দ্র নাগপুর দক্ষিণ-পশ্চিম-এও মাত্র ৪৯.২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই বিষযে প্রায় একই জায়গায় রয়েছেন হরিয়ানার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরও। তাঁর কেন্দ্র কার্নালে এদিন ভোট পড়েছে ৪৯.৩ শতাংশ।