বিয়ে কম করে, গেরুয়া কাপড় পরে বউ-মেয়েদের ইজ্জত লুঠের কাজ করে। এইরকম কদর্য ভাষাতেই বিজেপি-র প্রতি আক্রমণ শানালেন পুরোনো এনডিএ সঙ্গী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন। এমনকী প্রকাশ্য সভায় সরাসরি না হলেও, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রতি কুইঙ্গিত করলেন এই জেএমএম নেতা।
দুদিন বাদেই ঝাড়খণ্ডের পঞ্চম তথা শেষ দফার নির্বাচন। তার আগে এদিনই ছিল নির্বাচনি প্রচারের শেষ দিন। শেষ দিন পাকুরে কংগ্রেস ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সভা ছিল। সেখানে বক্তৃতা দেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়ড়া, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং জেএমএম-এর এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্য়ান হেমন্ত সোরেন।
সেখানেই বক্তৃতা দিতে দিয়ে হেমন্ত সোরেন বলেন, 'দেশে বর্তমানে একের পর এক বউ-মেয়েদের আগুনে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। তাদের ইজ্জত লুন্ঠন করা হচ্ছে। আমি জানতে পেরেছি এখানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিতনাথও চক্কর দিচ্ছেন। এরা বিজেপির লোক। এরা বিয়ে কম করে, কিন্তু গেরুয়া বসন পরে বউ-মেয়েদের ইজ্জত লুঠের কাজ করে।' এরপরই তিনি বিজেপি-কে ইজ্জত লুন্ঠনকারী বলে দায়ী করে তাদের ভোট না দেওয়ার আবেদন জানান।
এদিনের সভা থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রদানমন্ত্রী মোদীকে তার নিজের ভুলগুলি নিয়ে কথা বলার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। মহিলাদের উপর অপরাধ বৃদ্ধি থেকে কর্মসংস্থানের অভাব - মোদী সরকারের বিভিন্ন অস্বস্তির বিষয়গুলি নিয়ে মোদীর বক্তব্য দাবি করেন। তবে সবচেয়ে উত্তেজক মুহূর্তটি তৈরি হয়, মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল-এর বক্তব্যের সময়। সভার কিছু লোক নিজেদের মধ্যের ঝামেলা থেকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু করে দেন। উপস্থিত বাকিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে পরিস্থিতি সামাল দেন হেমন্ত সোরেন। তাঁর আবেদনেই শান্ত হয় জনতা।
২০১৩ সাল পর্যন্ত এনডিএ-এরই সঙ্গী ছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। ২০০১৪ সালে মোদী-শাহ'এর নেতৃত্বে থাকতে না চেয়ে শিবির বদলে কংগ্রেসের হাত ধরে হেমন্ত সোরেন-এর দল।