প্রয়োজন অনুযায়ী ধারণ করুন সঠিক রুদ্রাক্ষ, অন্যথায় হতে পারে মারাত্মক বিপদ

  • রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে হার্ট ভালো থাকে
  • রুদ্রাক্ষে ডাইমাগ্মেটিজম-এর বৈশিষ্ট্য আছে
  • রুদ্রাক্ষের মধ্যে রয়েছে চৌম্বকীয় শক্তি যা শরীরে ইমপালস তৈরি করে
  • নানান শারীরিক সমস্যা নিজে থেকেই সারাতে সাহায্য করে
     

রুদ্রাক্ষ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ রুদ্রের চোখ বা শিবের চোখ। রুদ্রাক্ষের মালা হাজার বছর ধরে হিন্দু সম্প্রদায়, বৌদ্ধ এবং বাউলদের মধ্যে বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায়। কয়েক বছর আগে অবধি রুদ্রাক্ষ ছিল সহজলভ্য। বর্তমানে গাছের পরিমাণ কয়েক গুণ কমে যাওয়ার ফলে দুর্লভ হয়ে পড়েছে এটি।  তবে বর্তমানে যায় ইন্দোনেশিয়ার জাভা, সুমাত্রা এবং বোর্নিও প্রভৃতি দ্বীপে, এবং নেপালে এই রুদ্রাক্ষ-র গাছ রয়েছে বেশি পরিমানে।

আরও খবর- অকালমৃ্ত্যু এড়াতে, ধনতেরাসে যমরাজের উদ্দেশ্যে এইভাবে দান করুন প্রদীপ

Latest Videos

হিমালয়ের কোলে রুদ্রাক্ষ গাছ দেখা গেলেও আমাদের দেশে প্রচুর সংখ্যক রুদ্রাক্ষ গাছ কেটে ফেলায় ভারত এই গাছের সংখ্যা কমে এসেছে। হিমালয়ের কোলে যে রুদ্রাক্ষ হয়, তার গুণগত মান বেশি ভালো। রুদ্রাক্ষ ১ মুখী থেকে ২১ মুখী পর্যন্ত হয়। এই বিভিন্ন ধরনের রুদ্রাক্ষের আলাদা আলাদা গুণ রয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। তবে কত মুখী রুদ্রাক্ষের কী কাজ, তা জেনে তবেই ধারণ করা উচিত। একমুখী রুদ্রাক্ষের শক্তি সবচেয়ে বেশি। এই একমুখী রুদ্রাক্ষ দেবাদিদেব মহাদেব রূপে পূজিত করা হয়। তবে এই একমুখী রুদ্রাক্ষ অতি দুর্লভ। তবে পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ খুবই সহজলভ্য আর সকলেই তা ধারণ করতে পারে। তবে জ্যোতিষীদের পরামর্শ ছাড়া রুদ্রাক্ষ ধারণ না করাই ভাল। 

 

 

আরও খবর- দীপাবলির সময়ে এই জিনিসগুলি কখনোই ধার নেবেন না অন্যের থেকে

আরও পড়ুন- সোনা কিনলেই হবে না, ধনতেরাসে সৌভাগ্য ফিরে পেতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

রুদ্রাক্ষ মালার রয়েছে বহু গুনাগুন আছে। আর সেই কারণেই ঋষি,মুনি এবং সাধারণ অনেক মানুষ রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন। শুধুমাত্র যে শুভ-অশুভ শক্তি বা বিপদ মুক্ত করে তা নয় রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে হার্ট ভালো থাকে। হার্ট বিট এবং রক্তের চলাচলের ফলে এক চৌম্বক শক্তির সৃষ্টি হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রুদ্রাক্ষে ডাইমাগ্মেটিজম-এর বৈশিষ্ট্য আছে। যার ফলে এটি সেই ক্ষতিকর চৌম্বক শক্তিকে বিলম্বিত হতে সাহায্য করে। এছাড়াও রুদ্রাক্ষের মধ্যে রয়েছে যে চৌম্বকীয় শক্তি আছে তা আমাদের শরীরে কিছু ইমপালস তৈরি হয়। তার ফলে আমাদের শরীরে কিছু কেমিক্যাল সৃষ্টি হয় যা বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা নিজে থেকেই সারাতে সাহায্য করে। এই কারণের জন্যই প্রাচীণকাল থেকেই মুনি ঋষিরা রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন। 
শুধু এই নয় রুদ্রাক্ষ শুদ্ধ এবং বিষাক্ত জলের মধ্যে পার্থক্য করতেও সাহায্য করে। জলের মধ্যে রুদ্রাক্ষ দিলে যদি রুদ্রাক্ষটি দক্ষিণাবর্তে ঘোরে তবে বুঝবেন জলটি শুদ্ধ তাতে কোনও রকেমের সমস্যা নেই। আর রুদ্রাক্ষটি যদি বামাবর্তে ঘোরে তবে বুঝতে হবে যে জলটি বিশুদ্ধ তা পাণীয় জল নয়।

Share this article
click me!

Latest Videos

‘২৬ এর নির্বাচনই তৃণমূলের শেষ নির্বাচন!’ Samik-এর সাবধানবাণী Mamata-কে, দেখুন | By Election Results
'আমি বলছি, আমার নাম করে লিখে রাখুন' ঝাঁঝিয়ে উঠে যা বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
বিয়ে করার জন্য পাত্রী তুলতে এসে শ্রীঘরে পাত্র, হুলুস্থুলু কাণ্ড কুলতলিতে | Kultali News
'উপনির্বাচনে জিতে আরও অত্যাচার বাড়াবে TMC' উদ্বেগ প্রকাশ Adhir Ranjan Chowdhury-র
প্রকাশ্যে হুমকি! মমতার এই নেতার মুখের ভাষা...বিরোধীদের যা বললেন! দেখুন | Malda News Today |