বলা হয় যে, যে কোনও বিশ্বাস বা ধারণার নেপথ্যে একটা কোনও বাস্তব কারণ থাকে। সময়ের সঙ্গে যদি সেই কারণের গুরুত্ব লোপ পায় তাহলে তা পরিণত হয় কুসংস্কারে। তবে একথা ঠিক যে, চন্দ্রগ্রহণের সঙ্গে মানব শরীরের একটি অদ্ভুদ যোগাযোগ রয়েছে। কারণ গ্রহণের একটা প্রভাব কিন্তু মানব শরীরের ওপর পড়ে।
১) বলা হয় গ্রহণের সময়ে শারিরীকভাবে মিলিত হওয়া উচিত নয়। শাস্ত্রে বলা আছে, গ্রহণের সময়ে মিলনের ফলে যে সন্তান পৃথিবীতে আসবে, তার চারিত্রিক দোষ থাকে। তাই গ্রহণের সময়ে স্বামী-স্ত্রীকে সংযমী হতে হবে।
২) গ্রহণের সময়ে গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বলা হয় এই সময়ে গর্ভবতী মহিলাদের বাইরে বেরনো উচিত নয়। এর কারণ হিসাবে বলা হয়, গ্রহণ চলাকালীন পরিবেশে ক্ষতিকারক কিছু তরঙ্গ সক্রিয় হয়ে ওঠে, যার প্রভাবে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
৩) রন্ধনপ্রণালী নিয়েও গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা পালন করা উচিত। বলা হয় যে গ্রহণের আগে রান্না করা পদ গ্রহণের পরে খাওয়া উচিত নয়। সবথেকে ভাল হয় যদি গ্রহণ লাগার আগেই সেই খাবার খেয়ে নেওয়া যায়।
১৬ জুলাই শুরু হচ্ছে চন্দ্রগ্রহণ, জেনে নিন কোথায় কখন দেখা যাবে
৪) শাস্ত্র মতে, গ্রহণের দিন সন্ধের পরে শরীরে তেল মালিশ করা একেবারেই উচিত নয়। এমনটা করলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫) গ্রহণের সময়ে চাঁদের দিকে খালি চোখে না তাকানোই ভাল। এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে।