তুলসী গাছের নানা ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সর্দ্দি, কাশি, ঠাণ্ডা লাগা ইত্যাদি নানা সমস্যায় তুলসী ব্যবহার করা হয়। এ গাছের রস কৃমি ও বায়ুনাশক। ঔষধ হিসাবে এই গাছের ব্যবহার্য অংশ হল এর রস, পাতা এবং বীজ। বাস্তু মতে, বাস্তুর জন্য তুলসী গাছ অত্যন্ত শুভ। তুলসীকে লক্ষীর অবতার বলে মনে করা হয়। পুরাণ মতে, যে বাড়িতে তুলসী গাছ আছে এবং নিয়মিত তার পুজো করা হয়, সেই বাড়িতে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। তবে, সঠিক নিয়ম মেনে তবেই বাস্তু তে তুলসী গাছ রাখতে হলে, অন্যথায় হতে পারে মহা বিপদ।
আরও পড়ুন- ভূত চতুর্দশীতে কেন চোদ্দ শাক খেতে হয়, জেনে নিন এর আসল কারণ
বাড়িতে বেশ কিছুটা উঁচু স্থানে তুলসী গাছ রাকা দরকার। চলার পথের থেকে কিছুটা উঁচুতে। কোনও মঞ্চের উপর থাকলে তা আরও ভাল।
তুলসী গাছ বাড়িতে রাখলে তবে তার প্রতিদিন পুজো করতে হবে, তাতে জল ঢালতে হবে। প্রতি সন্ধ্যেবেলায় তুলসী মঞ্চে প্রদীপ জ্বালতে হবে।
তুলসী মঞ্চ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। অন্য কোনও গাছ তুলসী মঞ্চে রাখা চলবে না।
আরও পড়ুন- কার্তিক মাসে জন্ম, তবে আপনার মধ্যে এই রয়েছে এই বিশেষ গুণ
তুলসী গাছ সব সময় বিজোড় সংখ্যায় রাখতে হবে। যেমন-তিনটি, পাঁচটি । এই গাছের পাশে কোনও কাঁটা জাতীয় গাছ রাখা যাবে না।
সন্ধ্যের পর তুলসী গাছ স্পর্শ করা যাবে না। এছাড়া বিশেষ কিছু তিথিতে তুলসী পাতা তোলা যাবে না। একাদশী, সূর্যগ্রহণ এই দিনগুলিতে কোনও ভাবেই তুলসী পাতা ছেঁড়া চলবে না।
তুলসী গাছ সম সময় উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন- ধনতেরাসে বাস্তুশাস্ত্র মেনে ব্যবহার করুন ক্রিস্টাল বল, কাটিয়ে উঠুন সন্তানকে নিয়ে সমস্যা
তুলসী গাছ শুকিয়ে গেলে বা মরে গেলে যেখানে সেখানে না ফেলে কোনও জলাশয়ে ফেলতে হবে।
বাস্তুতে কখনোই মরা তুলসী গাছ রাখা চলবে তা। তা খুবই অমঙ্গলজনক বা অশুভ।
ভাইরাস বা যে কোনও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিদিন ২টি করে তুলসী পাতা খান।
এই কয়েকটি নিয়ম মেনে যদি বাড়িতে তুলসী গাছ রাখতে পারেন, তবে সহজেই সংসারে ফিরে আসবে সুখ ও সমৃদ্ধি।