দীপাবলি, বা, দেওয়ালি হল অন্যতম এক হিন্দু ধর্মীয় উৎসব। সারা বিশ্বে জুড়ে কম-বেশি এই আলোর উৎসব পালন করা হয়। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরাস অথবা ধনত্রয়োদশী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দীপাবলি উৎসবের সূচনা হয়। কার্তিক মাসের শুক্লা পক্ষে, দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই উৎসব শেষ হয়। নবরাত্রি উৎসব অথবা বাঙালিদের দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার ১৮ দিন পর দীপাবলি শুরু হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য-নভেম্বরের মধ্যে দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন- কার্তিক মাসে জন্ম, তবে আপনার মধ্যে এই রয়েছে এই বিশেষ গুণ
কার্তিক মাসের অমাবস্যায় যে কালীপুজো হয় তার আগের দিন থাকে চতুর্দশী, যা ভূত চতুর্দশী নামে পরিচিত। এদিনে আগে প্রতিটি বাঙালি বাড়িতেই ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে ১৪ শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। এই দিনে ১৪ পুরুষের উদ্দেশ্যে প্রদীপ জ্বালানো হত। মনে করা হত এদিনে তাঁদের আত্মা নেমে আসে। এতো না হয় গেল প্রদীপের কথা তবে কেন এদিনে ১৪ রকমের শাখ খেতে হয়। সেই কারণটা কি জানা আছে।
আরও পড়ুন- ধনতেরাসে বাস্তুশাস্ত্র মেনে ব্যবহার করুন ক্রিস্টাল বল, কাটিয়ে উঠুন সন্তানকে নিয়ে সমস্যা
আরও পড়ুন- সোনা কিনলেই হবে না, ধনতেরাসে সৌভাগ্য ফিরে পেতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
বাড়ির বড়রা সব সময়েই এই বিষয়ে বলে থাকেন, এটাই নিয়ম, তাই পালন করা হয়। তবে কেন করা হল এমন নিয়ম! এই দিনে ১৪ শাখের মধ্যে রাখতে হয় ওল, বেতো, সরষে, পুঁই, শুশনি, নিম, মেথি, হিলঞ্চ, পলতা, শৌলফ, গুলঞ্চ, শুষণী, লাল , লাউ শাক ইত্যাদি। আর একইদিনে এই ১৪ শাক খাওয়ার কারন হল, স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য। এই মরশুমে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়, উত্তরের ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে শুরু করে। তাই শরীরের রোগ সংক্রমণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্যই এই শাক খাওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছিল।