জগদ্ধাত্রী বা জগদ্ধাত্রী দুর্গা হিন্দু শক্তি দেবী। ইনি দেবী দুর্গার অপর রূপ। উপনিষদে এঁর নাম উমা হৈমবতী। বিভিন্ন তন্ত্র ও পুরাণ গ্রন্থেও এঁর উল্লেখ পাওয়া যায়। যদিও জগদ্ধাত্রী আরাধনা বাংলাতেই প্রচলিত। কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর বাৎসরিক পুজো অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু বাঙালির ধর্মীয় মানসে রাজসিক দেবী দুর্গা ও তামসিক কালীর পরেই স্থান সত্ত্বগুণের দেবী জগদ্ধাত্রীর। নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজত্বকাল থেকেই জগদ্ধাত্রী পুজোর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন- সংসারের সুখ সমৃদ্ধি ফেরাতে বৃহস্পতিবার এইভাবে করুন গণেশ পুজো
মহাশক্তির আদিরূপ দেবী জগদ্ধাত্রী। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী – এই তিন দিন জগদ্ধাত্রীর পুজো হয়ে থাকে। তবে অনেকে নবমীর দিন তিন বার পুজো করে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পুজো সম্পন্ন করেন। কোথাও কোথাও প্রথম বা দ্বিতীয় পুজোর পর কুমারী পুজোরও আয়োজন করা হয়। দুর্গাপুজোর ন্যায় জগদ্ধাত্রী পুজোতেও বিসর্জনকৃত্য বিজয়াকৃত্য নামে পরিচিত। এমনকি পুষ্পাঞ্জলি ও প্রণাম মন্ত্রসহ পুজোর অনেক মন্ত্রও দুর্গাপুজোর অনুরূপ।
আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবারে এই চারটি কাজ ভুলেও করবেন না
আরও পড়ুন- প্রয়োজনে হোক বা প্রসাধণী হিসেবে, না ঠকে বেছে নিন খাঁটি মুক্তো
পুরাণ মতে,দেবরাজ ইন্দ্র দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধণা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। যেমন রাবণ কে বধ করার আগে রামচন্দ্র দেবী দুর্গার পুজো করেছিলেন। ঠিক সে রকম ভাবেই দেবরাজ ইন্দ্র আসুররাজ বৃত্রাসুরকে বধ করার জন্য দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধণা করেছিলেন। শুধু দুর্গাপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে মূল পার্থক্য হল দুর্গাপুজো মহাস্নান করা হয় কিন্তু জগদ্ধাত্রী পুজোতে কোনও মহাস্নান করানো হয় না। মনে করা হয় গণেশ-এর মতো এই পুজোতেও সিদ্ধি লাভ করা যায়।