সংক্ষিপ্ত

  • রত্নের মধ্যে অন্যতম হল মুক্তো
  • মুক্তো এক ধরনের ঝিনুকের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়
  • সাধারণত মোতি দেখতে গোলাকৃতি ধরনের হয়
  • আদর্শ মুক্তো গোলাকার ও মসৃণ প্রকৃতির হয়

রত্নের মধ্যে অন্যতম হল মুক্তো, এর অন্য নাম মোতি। মুক্তো এক ধরনের শম্বুক জাতীয় প্রাণী ঝিনুকের মাধ্যমে তৈরী হয়। এটি দেখতে ছোট এবং প্রায়শই সাদা রঙের হয়ে থাকে। সাধারণত মোতি দেখতে গোলাকৃতি ধরনের হয়। এছাড়া, অর্ধ-গোলাকার, ডিম্বাকৃতি কিংবা অন্য যে-কোন বিভিন্ন আকৃতিরও হতে পারে। অলঙ্কার জগতে এর অসম্ভব জনপ্রিয়তা ও সুনাম রয়েছে। জুন মাসে জন্মগ্রহণকারী জাতকগণ প্রধাণ রত্ন হিসেবে মুক্তো ধারণ করে থাকেন।

আরও পড়ুন- দুর্ঘটনার কবলে কেন পড়ে মানুষ, এই বিষয়ে কি বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র

হাজার হাজার বছর আগে সমুদ্র বা নদী থেকে প্রাকৃতিকভাবে তৈরী মুক্তো ভারত মহাসাগর, পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর এবং মান্নার উপসাগর থেকে ডুবুরী দিয়ে সংগ্রহ করানো হত। ঝিনুকের খোলকের ভিতরে তৈরি মুক্তোয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট সংমিশ্রণে মুক্তা তৈরী হয়। আদর্শ মুক্তো গোলাকার ও মসৃণ প্রকৃতির হয়। ব্যারোক পার্লজাতীয় মুক্তা বিভিন্ন আকার ও আকৃতির হয়ে থাকে। চমকপ্রদ, মনোলোভা, সুন্দর ও উচ্চ মূল্যমানের মুক্তো সৌন্দর্য পিপাসুদের কাছে শত শত বছর ধরে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

আরও পড়ুন- শান্তিপূর্ণ জীবন কাটাতে চান, তবে মনে রাখুন এই বিষয়গুলি

প্রয়োজনে হোক বা  প্রসাধণীর জন্যই হোক, মুক্তো অনেকেই ব্যবহার করেন। মানসিক অশান্তি বা চঞ্চলতার জন্য মুক্তো ধারণ করলে লাভ পাওয়া যায় এ কথা আমরা কম-বেশি সকলেই জানি। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে দাম্পত্য অস্থিরতা, মানসিক অশান্তি, আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য মুক্ত ধারণ করলে উপকার পাওয়া যায়। তাই আপনি যে মুক্তোটি ব্যবহার করছেন সেটি আসল না নকল তা বুঝবেন কী করে। জেনে নিন আসল মুক্তো চেনার রয়েছে কয়েকটি সহজ উপায়। 

আরও পড়ুন- নতুন বছরে আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে এখন থেকেই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

পারস্য উপসাগর থেকে যে মুক্তো পাওয়া যায় তাকে বসরাই মুক্তো বলে। বিশেষজ্ঞদের মতে এটাই পৃথিবীর উৎকৃষ্ট এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তো। মুক্তো আসল হলে গরমের সময়েও ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। কৃত্তিম মুক্তোর ক্ষেত্রে তা হয় না। আসল মুক্তো ওজনে অনেক হালকা হয় নকলের তুলনায়। আসল মুক্তো নকলগুলোর মত মসৃণ হয় না। একটি কাঁচের উপর মুক্তো টি দিয়ে দাগ কাটার মতো করে ঘঁষে নিন, যদি কাঁচে দাগ পড়ে তবে মুক্তোটি নকল। আসল মুক্তো গলে কাঁচে দাগ পড়তো না। 

প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো মুক্তোর আকার ভিন্ন হয়। একই আকারের অনেকগুলো আসল মুক্তো পাওয়া বিরল। আর সহজেই একই আকারের কৃত্তিম মুক্তো পাওয়া যায়। আসল মুক্তো যদি সামান্য উচ্চতা থেকে কোনও কাঠের উপর ফেলেন তবে ধাতব শব্দ হবে। আসল মুক্তো চেনার আরও একটি সহজ উপায় হল, নখ দিয়ে মুক্তোর গায়ে সামান্য ঘষা দিন যদি মুক্তার গুড়া দেখতে পান তবে তা আসল মুক্তো। আবার আসল মুক্তোয় ঘষা দেওয়ার পরে হালকা করে মুছে দিলেই দাগ চলে যায় এবং উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।