প্রয়োজনে হোক বা প্রসাধণীর জন্যই হোক, মুক্তো অনেকেই ব্যবহার করেন। মানসিক অশান্তি বা চঞ্চলতার জন্য মুক্তো ধারণ করলে লাভ পাওয়া যায় এ কথা আমরা কম-বেশি সকলেই জানি। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে দাম্পত্য অস্থিরতা, মানসিক অশান্তি, আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য মুক্ত ধারণ করলে উপকার পাওয়া যায়। রত্নের মধ্যে অন্যতম হল মুক্তো, এর অন্য নাম মোতি। মুক্তো এক ধরনের শম্বুক জাতীয় প্রাণী ঝিনুকের মাধ্যমে তৈরী হয়। এটি দেখতে ছোট এবং প্রায়শই সাদা রঙের হয়ে থাকে। সাধারণত মোতি দেখতে গোলাকৃতি ধরনের হয়। এছাড়া, অর্ধ-গোলাকার, ডিম্বাকৃতি কিংবা অন্য যে-কোন বিভিন্ন আকৃতিরও হতে পারে। অলঙ্কার জগতে এর অসম্ভব জনপ্রিয়তা ও সুনাম রয়েছে। জুন মাসে জন্মগ্রহণকারী জাতকগণ প্রধাণ রত্ন হিসেবে মুক্তো ধারণ করে থাকেন।
আরও পড়ুন- নামের প্রথম অক্ষর এম দিয়ে, তবে সেই মানুষগুলির মধ্যে এই বিশেষ গুণ
হাজার হাজার বছর আগে সমুদ্র বা নদী থেকে প্রাকৃতিকভাবে তৈরী মুক্তো ভারত মহাসাগর, পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর এবং মান্নার উপসাগর থেকে ডুবুরী দিয়ে সংগ্রহ করানো হত। ঝিনুকের খোলকের ভিতরে তৈরি মুক্তোয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট সংমিশ্রণে মুক্তা তৈরী হয়। আদর্শ মুক্তো গোলাকার ও মসৃণ প্রকৃতির হয়। ব্যারোক পার্ল জাতীয় মুক্তা বিভিন্ন আকার ও আকৃতির হয়ে থাকে। চমকপ্রদ, মনোলোভা, সুন্দর ও উচ্চ মূল্যমানের মুক্তো সৌন্দর্য পিপাসুদের কাছে শত শত বছর ধরে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন- অগ্রহায়ণ মাস কেমন প্রভাব ফেলবে মকর রাশির উপর
মুক্তো থেকে বিচ্ছুরিত কমলা আলো প্রচুর রোগ নিরাময়েও সাহায্য করে। মুক্তো থেকে নিঃসৃত কমলা আলো থাইরয়েড গ্রন্থিকে স্টিমুলেট করতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুক্তো ধারণ করলে শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। জেমথেরাপিস্টদের মতে মুক্তো হল কুল জেম।
মুক্তো হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে এনিমিয়া বা রক্তাপ্লতা দূর করতে সাহায্য করে।
মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে মুক্তো।
বয়স্ক ব্যক্তিদের রক্তের ঘনত্ব কমাতে সাহায্য করে মুক্তো।
যে কোনও ধরণের ম্যাসল ক্রাম্প এর মত রোগ নিরাময়েও সাহায্য করে মুক্তো।
তাই জেমথেরাপিস্টরা শুধু গ্রহ দোষ কাটাতে নয় শারীরিক সমস্যা সমাধানেও মুক্তো পরার পরামর্শ দেন।