মাঘ মাসেই করুন নবগ্রহ শান্তি, কাটিয়ে উঠুন সকল বাধা ও বিপত্তি

  • প্রাচীন পুরাণে গঙ্গাস্নানের মাহাত্ম্যের কথা লেখা আছে
  • গঙ্গার মাহাত্ম্যের কথা ভগবান শিব বলেছিলেন পার্বতীকে
  • তীর্থস্থানে স্নান করলে শান্ত রাখা যায় নবগ্রহকে
  • গ্রহের কুপ্রভাব কাটানোর জন্য তীর্থস্থানে স্নান করার কথা বলা হয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্রে

deblina dey | Published : Jan 21, 2020 9:10 AM IST

জীবনে বিভিন্ন গ্রহের সু-প্রভাবের পাশাপাশি কু-প্রভাবও আছে। আর সেই কুপ্রভাব কাটানোর জন্য তীর্থস্থানে স্নান করার কথা বলা হয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্রে। তবে এই স্নানের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মঙ্গল স্নান। মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গা স্নান, কার্ত্তিক পূর্ণিমায় কুম্ভ স্নান সহ বিভিন্ন মঙ্গল স্নান করলে জীবনে প্রচুর সমস্যা অনায়াসেই মিটিয়ে ফেলা যায় আর সেই সঙ্গে পূর্ণ অর্জনও করা যায়। আমরা অনেক তীর্থস্থানে যাই। সেখানে গিয়ে নদীতে অথবা সাগরে স্নান করি। আমাদের প্রাচীন পুরাণে গঙ্গাস্নানের মাহাত্ম্যের কথা লেখা আছে। এমনকি গঙ্গার মাহাত্ম্যের কথা ভগবান শিব বলেছিলেন পার্বতীকে। তবে বিভিন্ন তীর্থ স্থানে স্নান করার একটি বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। আমাদের শাস্ত্রে সাত রকম স্নানের কথা বলা হয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, তীর্থস্থানে স্নান করলে শান্ত রাখা যায় নবগ্রহকে।

আরও পড়ুন- কোন বিষয়ে ভয় পান আপনি, জেনে নিন জন্মতারিখ অনুযায়ী

বিশিষ্ট তীর্থস্থান মানেই সেখানে গঙ্গার অবস্থান। গঙ্গা ভারত ও বাংলাদেশে প্রবাহিত একটি আন্তর্জাতিক নদী। এই নদী ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় নদীও বটে। গঙ্গার দৈর্ঘ্য ২,৫২৫ কিমি উৎসস্থল পশ্চিম হিমালয়ে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে। দক্ষিণ ও পূর্বে গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। জলপ্রবাহের ক্ষমতা অনুযায়ী গঙ্গা বিশ্বের প্রথম ২০টি নদীর একটি। গঙ্গা হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে একটি পবিত্র নদী। তারা এই নদীকে দেবীজ্ঞানে পুজো করেন। একইসঙ্গে গঙ্গার ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম, একাধিক পূর্বতন প্রাদেশিক ও সাম্রাজ্যিক রাজধানী যেমন পাটলিপুত্র, কনৌজ, কাশী, এলাহাবাদ, মুর্শিদাবাদ, মুঙ্গের ও কলকাতা এই নদীর তীরেই অবস্থিত।

আরও পড়ুন- এই ৫ রাশির সঙ্গী রাগ করে সবথেকে বেশি, দেখুন কারা আছেন সেই তালিকায়

শাস্ত্র মতে, নবগ্রহকে শান্ত রাখার জন্য তীর্থস্থানে স্নান করলেই হবে না। মানতে হবে বিশেষ কিছু নিয়মও। একটি মাটির কলসীতে সামান্য আতপ চাল, সাদা সর্ষে, কয়েকটি দূর্বা, সামান্য লাল চন্দন ও অল্প কালো তিল নিয়ে তাতে যে কোনও তীর্থস্থানের জল রেখে দিন। এরপর যখন স্নান করবেন কলসী থেকে এক গ্লাস জল নিজের স্নানের জলে মিশিয়ে নবগ্রহের শান্তি কামনা করে স্নান সেরে নিন। এইভাবে পরপর তিন দিন স্নান করার পর অবশিষ্ট জল সহ কলসীটি গঙ্গায় সমার্পণ করুন। এই পুরোও কাজটি যদি কোনও পূণ্য তিথিতে করতে পারেন তবে সুফল অবশ্যই পাবেন। তাই এই মাসের সংক্রান্তিতে গঙ্গা স্নান করলে পূণ্য অর্জন হয় বলে মনে করেন অনেকেই।

Share this article
click me!