জ্যোতিষশাস্ত্রেরও কিছু একক আছে। জন্মরাশি সেই এককগুলির একটি। পৃথিবীকে কেন্দ্র করে চন্দ্রের আবর্তন পথকে ৩৬০ ডিগ্রি সমমানের একটি বৃত্ত আকারে এঁকে ১২ টি অংশে বিভক্ত করলে প্রায় ৩০ ডিগ্রী সমমানের যে বৃত্তচাপ পাওয়া যায় তার প্রত্যেকটিকে এক একটি রাশি বলা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রের বৈধতা পরীক্ষা করা কঠিন হতে পারে কারণ জ্যোতিষবিদদের মধ্যে জ্যোতিষশাস্ত্র কী বা এটি কী ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে এই ব্যাপারে কোনও ঐক্য নেই । এই জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, জেনে নেওয়া যাক গ্রহ শান্তির কিছু উপায়। যা জীবনে চরম বিপর্যয়ের থেকে রক্ষা করতে পারে। গ্রহ অনুযায়ী রইল তার প্রতিকারের নিয়মগুলি।
আরও পড়ুন- কোন দিনে কোন খাবার শুভ ফল দেয়, এই বিষয়ে জেনে নিন জ্যোতিষের মতামত
রবি- সূর্যদেবের ধ্যান করুন, রবিবার উপবাস থেকে সাদাফুল দিয়ে শিব ও মাতঙ্গীর পুজো কারুন। তামার টুকরো জলাশয়ে ফেলে দিন। চাইলে বালিশের মধ্যেও রাখতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার আগে ঠাকুরের প্রসাদ নকুলদানা অথবা মিশ্রি মুখে রাখুন ।
মঙ্গল- মঙ্গলবার উপবাস থেকে বজরংবলি বা বগলাদেবীর পুজো করুন। গম বা মুসুরডাল মন্দিরে দান করুন। মাটির পাত্রে মধু ভর্তি করে ঘরে রেখে দিন।
বুধ- বুধবার উপবাস থেকে ত্রিপুরাসুন্দরী বা মা দুর্গার পুজো করুন। নদীর জলে সবুজ জিনিস প্রবাহিত করুন। ঘরে বুদ্ধমূর্তি বা ফটো রাখুন।
আরও পড়ুন- রাশিঘর পরিবর্তন করবে মঙ্গল, বৃদ্ধি পাবে ৫ রাশির সমস্যা
বৃহস্পতি- বৃহস্পতিবারে উপবাস থেকে লক্ষ্মী দেবী ও তারা মায়ের আরাধনা করুন। হলুদ ফুল দিয়ে পুজো এবং হলুদের টিপ পরুন। বট গাছে জল দিন। কারও থেকে দান গ্রহন করবেন না।
শুক্র- শুক্রবার উপবাস থেকে ভুবনেশ্বরীর পুজো করুন। পুজোর ঘি, দুধ, দই মন্দিরে দান করুন। বাড়িতে সাদা ফুল গাছ লাগান। কখনও ছেঁড়া জামাকাপড় পরবেন না। হালকা পারফিউম ব্যবহার করুন। নর্দমাতে হলুদ ফুল ফেলুন।
চন্দ্র- সোমবার উপবাস থেকে শিব ও কমলার পুজো করুন। বাড়িতে সাদা রঙের গরু, খরগোস পালন করুন। চন্দ্রের বস্তু সামগ্রী মন্দির, মসজিদ বা গীর্জায় দান করুন।