চৈত্র মাস নবরাত্রি আজেকর দিন অর্থাৎ ২৫ মার্চ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। এই দিনে পুজোর স্থানে ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং অবাঙ্গালিরা এই দিনে গুড়িপদওয়া এবং ঝুলিলাল জয়ন্তী উৎসব পালন করেন। চৈত্র শুক্লপক্ষের প্রতিপদে আবার হিন্দু নববর্ষের সূচণা হিসেবেও পালন করা হয়। চলতি বছরে চৈত্র নবরাত্রিতে বিরল সংখ্যক গ্রহের যোগ সৃষ্টি হয়েছে। ২৯ শে মার্চ রবিবার নবরাত্রির মাঝে, বৃহস্পতি গ্রহ ধনু রাশি ছেড়ে মকর রাশিতে প্রবেশ করবে। চৈত্র নবরাত্রিতে মকর রাশিতে দেবগুরু বৃহস্পতির প্রবেশ এক কাকতালীয় ঘটনা। যা প্রায় বিরলও বলা যেতে পারে। ১৭৮ বছর আগে এই যোগ সৃষ্টি হয়েছিল। একইসঙ্গে মঙ্গল এবং শনি ইতিমধ্যেই মকর রাশিতে অবস্থিত। মকর রাশিতে এই তিনটি গ্রহের সংমিশ্রণ ৮৫৪ বছর পরে তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন- সারা জীবন শান্তিপূর্ণ জীবন কাটাতে, রইল কিছু সহজ টিপস্
৮৫৪ বছর আগে অর্থাৎ ১১২০ সালে এই তিনটি গ্রহের সমষ্টি একসঙ্গে মকর রাশিতে অবস্থান করেছিল। শনি, মঙ্গল ও গুরু বৃহস্পতির এই সংমিশ্রণটি মকর রাশিতে একটি দুর্দান্ত সমন্বয় তৈরি করছে। এই যোগের ফলে মঙ্গলের স্থান রয়েছে উঁচুতে। শনি ও গুরু বৃহস্পতির স্থান রয়েছে নীচে। ২০২০ এর আগে, ১৫ এপ্রিল ১১৬৬-তে মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি একত্রিত হয়েছিল। এই তিনটি গ্রহের যোগ আবার এই বছরের ৪ মে মঙ্গলের রাশি পরিবর্তনের দ্বারা ভেঙে যাবে।
আরও পড়ুন- চৈত্র মাস কেমন প্রভাব ফেলবে কর্কট রাশির উপর, দেখে নিন
চৈত্র নবরত্রিতে মকর রাশিতে গুরুর যোগ ১৭৮ সাল আগে ১৮৪২ এ হয়েছিল। এই বছরের চৈত্র মাসের নবরাত্রি ২৫ মার্চ থেকে শুরু হবে এবং ২৯ মার্চ মকর রাশিতে পরিবর্তিত হবে। নবরাত্রি বুধবার থেকে শুরু হয়ে ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শেষ হবে। এই যোগের ফলে প্রভাব পড়বে অন্য গ্রহগুলিতেও গ্রহ বুধ ও মন্ত্রী চন্দ্র। বুধ এবং চাঁদ একে অপরের মধ্যে প্রতিকূল অনুভূতি থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে অরাজকতার সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি রাজা ও রাজ্যের নাগরিকদের ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। তবে এই তিনটি গ্রহের যোগফল মেষ, কন্যা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর এবং মীন রাশির জন্য শুভ হবে। এই রাশির ভাগ্যউন্নতির যোগ রয়েছে পাশাপাশি আর্থিক উন্নতিরও যোগ রয়েছে। মিথুন, সিংহ, তুলা ও কুম্ভ রাশির এই সময়টিতে নিজেদের প্রতি যত্নবান হতে হবে। এই যোগ বৃশ্চিক এবং কর্কট রাশির জাতকদের উপর সাধারণ প্রভাব ফেলবে। তারা তাদের পরিশ্রম অনুসারে ফল পাবে।