রমজান বা রামদান হল ইসলামী বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে নবম মাস। এই মাসে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় রোজা পালন করে থাকেন। রমজান মাসে রোজাপালন ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়তম। রমজান মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ২৯ অথবা ত্রিশ দিনে হয়ে থাকে যা নির্ভরযোগ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এই বারে এক অন্য রমদান পালিত হবে বিশ্ব জুড়ে। করোনা আতঙ্কে ঘরবন্দিতেই উৎসবে মাতবেন ইসলাম সম্প্রদায়।
আরও পড়ুন- বৈশাখ মাস কেমন প্রভাব ফেলবে কন্যা রাশির উপর, দেখে নিন
এ মাসে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ব্যক্তির উপর সাওম পালন করে থাকেন, কিন্তু অসুস্থ, গর্ভবতী, ডায়বেটিক রোগী, ঋতুবর্তী নারীদের ক্ষেত্রে তা শিথিল করা হয়েছে। রোজা বা সাওম হল সূর্য উদয় থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পঞ্চইন্দ্রিয়ের দ্বারা গুনাহের কাজ এবং স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে যৌনসংগম থেকে বিরত থাকা। এ মাসে মুসলিমগণ অধিক পূণ্যের করে থাকেন। কারণ অন্য মাসের তুলনায় এ মাসে সৎ কাজ করলে পূণ্য লাভ বহুগুণ বেড়ে যায়। এ মাসের লাইলাতুল কদর নামক রাতে কুরআন নাযিল হয়েছিল, যে রাতকে আল্লাহ তাআলা কুরআনে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলেছেন। এ রাতে ইবাদত করলে হাজার মাসের ইবাদতের থেকেও অধিক সওয়াব পাওয়া যায়। রমজান মাসের শেষের দিকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানগণ ঈদুল-ফিতর পালন করে থাকে যেটি মুসলমানদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি।
আরও পড়ুন- মকর রাশির আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, দেখে নিন আপনার রাশিফল
২৩ এপ্রিল থেকে টানা এক মাস অর্থাৎ ২৩ মে অবধি চলবে এই রমজান উৎসব। ইসলাম ধর্ম মতে, হজরত মহম্মদ যখন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরান-এর সৃষ্টি করেছিলেন সেই সময় থেকেই রমজান এর সূচণা হয়েছিল। প্রতি বছর এই গরমের সময়েই পাতিল হয় এই রমজান। টানা এক মাস চলার পর ২৩ মে চাঁদ দেখে রমজান শেষে পালন হবে পবিত্র ঈদ।