শাস্ত্রে রুদ্রাক্ষের (Rudraksh) যে বিস্তর গুরুত্ব তার প্রমাণ মিলেছে সর্বত্র। যে কোনও শুভ কাজে ব্যবহৃত হয় এই রুদ্রাক্ষ মালা কিংবা রুদ্রাক্ষ ধারণ করাও শুভ বলে মনে করা হয়। শুধু জ্যোতিষে নয়, বৈজ্ঞানিক মতে রুদ্রাক্ষের উপকারীতা বিস্তর। জেনে নিন রুদ্রাক্ষের উপকারীতা।
হিন্দু শাস্ত্রে রুদ্রাক্ষের (Rudraksh) গুরুত্ব রয়েছে বিস্তর। রুদ্রাক্ষ গাছের ৬৫ শতাংশ রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। নেপালে রয়েছে ২৫ শতাংশ। বাকি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। পৌরানিক কাহিনি অনুসারে শিবের (Lord Shiv) অশ্রু থেকে তৈরি হয়েছিল রুদ্রাক্ষ গাছ। ভগবান শিব কঠিন তপস্যার পর চোখ খুলতে তাঁর চোখ থেকে অশ্রু নির্গত হয়। যা মাটিতে পড়তে সেই অশ্রু থেকে তৈরি হয় রুদ্রাক্ষ গাছ। শাস্ত্রে রুদ্রাক্ষের (Rudraksh) যে বিস্তর গুরুত্ব তার প্রমাণ মিলেছে সর্বত্র। যে কোনও শুভ কাজে ব্যবহৃত হয় এই রুদ্রাক্ষ মালা কিংবা রুদ্রাক্ষ ধারণ করাও শুভ বলে মনে করা হয়। শুধু জ্যোতিষে নয়, বৈজ্ঞানিক মতে রুদ্রাক্ষের উপকারীতা বিস্তর। জেনে নিন রুদ্রাক্ষের উপকারীতা।
১. জানা গিয়েছে, রুদ্রাক্ষে (Rudraksh) রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। রুদ্রাক্ষের বীজ ভিজিয়ে জল খেতে পারেন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) তৈরি হবে। শরীরের সকল কঠিন ব্যধি দূর হবে রুদ্রাক্ষ ভেজানো জল খেলে। রোজ সকালে উঠে রুদ্রাক্ষ ভেজানো জল পান করুন। নিয়মিত ব্যবহারে নিজেই ফারাক বুঝবেন।
২. জানা গিয়েছে রুদ্রাক্ষ মনের ওপর প্রভাব ফেলে। রুদ্রাক্ষ (Rudraksh) ধারণ করলে মানসিক চাপ মুক্ত থাকবেন। দূর হবে টেনশন, রক্তচাপ দূর হবে। ব্যক্তিত্ব গঠনে সাহায্য করে। রুদ্রাক্ষে রয়েছে ডাই ইলেকট্রিক পদার্থ। যা মানসিক স্থিরতা এনে দেয়। এর গুণে মানুষের বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। সঙ্গে ব্যক্তি গঠনে সাহায্য করে এই পদার্থ। বুদ্ধি, আত্মবিশ্বাস বিকাশ ঘটাতে চাইলে ধারণ করতে পারেন রুদ্রাক্ষ।
৩. বৈজ্ঞানিক মতে, রুদ্রাক্ষ (Rudraksh) পুঁতি একটি চুম্বকের মতো কাজ করে। ডাক্তারি মতে, এর ডায়নামিক পোলারিটি শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। এর ফলে, বন্ধ কিংবা অবরুদ্ধ ধমনী ও শিরাগুলো পরিষ্কার হয়। আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। শরীরে বিভিন্ন ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে।
আরও পড়ুন: Fear of Life: সহজ এই নিয়মগুলি মেনে জীবনের সবচেয়ে বড় ভয় দূর করুন
৪. ডাক্তারি মত অনুসারে আমাদের শরীর একটি বায়ো ইলেকট্রিক সার্কিটের (Bio-Electric Circuit) মতো কাজ করে। হার্ট (Heart), মস্তিষ্ক থেকে প্রতিটি অঙ্গে ক্রমাগত রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে। এই রক্ত সরাবরহ ঠিক হলে তবেই মানুষ সুস্থ থাকেন। এক্ষেত্রে রুদ্রাক্ষের দানা বেশ উপকারী। এই দানা শরীরকে স্থিতিশীল করে এবং হৃদয় ও ইন্দ্রিয়ের ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে বজায় থাকে শারীরিক সুস্থতা।