হিন্দু বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক বাড়িতে এই আচারটি দেখা যায়, নববধূ গৃহপ্রবেশের সময় চাল ভর্তি একটি ছোট্ট কলসী ডানপা দিয়ে ঠেলে ফেলে দেন। কোথাও আবার দেখা যায় নববধূকে পাথরের থালায় দুধ আর আলতা মেশানো জলে পা ডুবিয়ে দাঁড়াতে হয়।
হিন্দু বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক বাড়িতে এই আচারটি দেখা যায়, নববধূ গৃহপ্রবেশের সময় চাল ভর্তি একটি ছোট্ট কলসী ডানপা দিয়ে ঠেলে ফেলে দেন। কোথাও আবার দেখা যায় নববধূকে পাথরের থালায় দুধ আর আলতা মেশানো জলে পা ডুবিয়ে দাঁড়াতে হয়। তারপরই তিনি শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করেন। হিন্দুরা যেখানে আলদা, দুধ আর চাল বা ধানকে শুভ বলে মনে করে সেখানে এজাতীয় প্রথার মানে নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু এটি একটি প্রাচীন প্রথা। আর শুভ বলেও মনে করা হয়।
হিন্দু বিয়েতে প্রচুর আচার থাকে। যা নতুন দম্পতির জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। কোথায় চালের কলসি পা দিয়ে ঢেলে নতুন বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়। কোথাও আবার দুধ আর আলতার জলে পা দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করতে হয়। এগুলি সবই সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। মনে করে হয় নববধূ বাড়ির লক্ষ্মী। তাঁকে দেবীর সঙ্গে তুলনা করা হয়।
চাল ভর্তি কলসীর আচার-
প্রতিটি পুজোর কলসী ব্যবহার করা হয়। এটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ পুজোর পাত্র। একই সঙ্গে চাল বা ধানও গুরুত্বপূর্ণ পুজোর উপকরণ। দুটি জিনিসই শুভ বলে মনে করা হয়। আর ধান ভর্তি কলসী প্রাচুর্যের প্রতীক। তাই নববধুকে ঘরে আনাকে প্রাচুর্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
দুধ- আলতা জলের পা-
হিন্দু বাড়িতে প্রতিটি পুজো আলতা আর দুধের ব্যবহার হয়। একই ভাবে পাথরের থালাকেও শুভবলে মনে করা হয়। তাই নতুন বধূর গৃহপ্রবেশও শুভ বলে মনে করা হয়। সেই জনই পথের ধুলোবালি নতুন বধূর পা থেকে দুধ দিয়ে ধুয়ে শোধন করার মতই এই প্রথাকে দেখা হয়। আবার এয়োতীর প্রতীক আলতা। নতুন বধুর পায়ের আলতা যাতে ধুয়ে না যায় তার জন্যই আলতা ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় এই থালায় রেখে দেওয়া হয়। কথায় আছে শ্বশুর বাড়ির লোক পরখ করে দেখে নেয় নতুন বউটি শান্ত কিনা। বলা হয় যদি মাছ লাফায় তাহলে নুতন বউ খুবউ দুরত্ব হয়।
যাইহোক এগুলি সবই প্রথা। অনেক বিয়ের প্রথা অনেকটাই আধুনিক হয়ে গেছে। কেই মানে কেউ আবার মানে না। কিন্তু এগুলি সবই তৈরি হয়েছিল দুটি পরিবার ও নতুন দম্পতি কাছে আনার জন্য। তাই প্রথাগুলি এখনও অনেকটাই জরুরি।