
টাকা এমনই একটি জিনিস যাতে কেউ না বলে না। সুখ থেকে শান্তু এমনকি আমারদায়ক জীবনের জন্য টাকার গুরুত্ব অপরিহার্য। ধনী হতে বিশ্বের সব মানুষই চায়। আর সেই কারণে সকলেই চায় ধনদেবী লক্ষ্মীকে তুষ্ট করতে। কিন্তু আপনি জানেন কি , হিন্দু শাস্ত্রেও রয়েছে দ্রুত ধনী হওয়ার উপায়। আর সেই জন্যই আপনাকে মেনে চলতে হবে ৬টি বাস্তু নিয়ম।
১. প্রতিটি বাড়িতেই পাঁচটি উপাদান ও ১৬টি মহাবাস্তু এলাকা থাকে। আর আপনি যখন বাড়ি তৈরি করবেন বা কিনবেন তখনই সেগুলি দেখেশুনে কেনা জরুরি। বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী কতগুলি জিনিস রয়েছে যাতে ধন-সম্পত্তি-ভাগ্য সবই ঢুকবে আপনার বাড়ির অন্দরে।
২. বাস্তু অনুযায়ী বাড়ি তৈরি বা কেনা খুবউ জরুরি। যেখানে যদি বাস্তুর একটি নিয়মও লঙ্ঘন করা হয় তাহলে আর্থিক সমস্যায় পড়তে পারে বাড়ির মালিক। বাস্তুদোষ-যুক্ত বাড়ি কখনই শুভ নয়।
৩. বাস্তুর নিয়ম অনুযায়ী উত্তরের রঙ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর হিন্দুশাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী উত্তর দিকে কখনই লাল রঙের ব্যবহার ঠিক নয়। বাড়ির একটি নির্দিষ্ট দিকে বিশেযভাবে রান্নাঘর ও স্নানঘর তৈরি করা জরুরি। আর সেখানেই ওয়াশিং মেশিন রাখতে হয়। যেহেতু রান্নাঘর আগুনের প্রতিনিধিত্ব করে তাই এটি সর্বদা গুছিয়ে রাখতে হয়। রান্নাঘর ভুল দিকে তৈরি হল বাড়িতে অনর্থ লেগেই থাকে।
৪. বাড়ির উত্তর দিকে সর্বদা মানিপ্ল্যান্ট গাছ রাখুন। উত্তর দিকে বেশি গাছ লাগান শ্রেয়। উত্তর দিকে বা উত্তর-পশ্চিমদিকে বাগান থাকে সেই বাড়িতে অর্থের অভাব হয় না।
৫. বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী বাড়িতে অর্থ আসার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল মূল দরজা। তাই এটির গঠন ও স্থান গুরুত্বপূর্ণ। মূল ফটকে কখনই কালো রঙ করবেন না। এই দরজা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। এটি যেন বাড়ির অন্যান্য দরজা থেকে বড় হয় খেয়াল রাখবেন। চাইলে এই দরজায় একটি স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে দিন। এই দরজা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হলে আর্থিক সংকট চলে। তবে উত্তর দিকে হলে সবথেকে ভাল। দক্ষিণদিকে মূল দরজা শুভভাগ্যের লক্ষণ। পশ্চিম দিকে যদি থাকে তাহলে অর্থের আগমণ হয়।
৬. বাড়ির দক্ষিণ -পূর্ব দিকে রান্নাঘর হওয়া শুভ। রান্না ঘরের রঙ কমলা বা গোলাপি রাখতে পারেন। বাড়ির বসার ঘরটি অবশ্যই দক্ষিণ দিকে রাখা জরুরি।