জ্যোতিষবিদদের মতে মনের ইচ্ছে বা আকাঙ্খা কখনই কারও কাছে প্রকাশ করা উচিৎ নয়। যা যেকোনও সময়ই নজর লাগতে পারে।
পুজো আসছে। এই সময় আপনার সন্তান সুন্দর সুন্দর জামা পরে সেজেগুজে বাইরে বার হবে। আপনিও সাজবেন বাইের যাবেন। কিন্তু আপনি জানেন কি এই সুন্দর মুহুর্তগুলি কিছু মানুষের অশুভ দৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চলারচর আমরা যাকে নজর লাগে বলে তা কিন্তু খুব খারাপ। কুনজের কারণে যে কোনও মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। আবার কোনও কোনও মানুষ সর্বশান্ত হয়ে যেতে পারে। তাই কুনজর বা অশুভ দৃষ্টি এড়াতে কিছু জ্যোতিষমত কিছু বিধান রয়েছে। যা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
জ্যোতিষবিদদের মতে মনের ইচ্ছে বা আকাঙ্খা কখনই কারও কাছে প্রকাশ করা উচিৎ নয়। যা যেকোনও সময়ই নজর লাগতে পারে। শুভকাজ সমাপ্ত না হওয়া বা আটকে থাকা কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে না জানানোই শ্রেয়।
নিদের পরিকল্পনার কথা আগে থেকে কখনই কাউকে জানাবেন না। তাহলে বিপদ বাড়ৃতে পারে অশুভ দৃষ্টিক জন্য। কুনজরের জন্য হওয়া কাজও পণ্ড হতে পারে। অনেকে আবার নেতিবাচক কখা বলে আপনার মন ভেঙে দিতে পারে।
নিজের দুর্বলতা অন্যের কাছে গোপন করুন। নিজের অসুবেধের কথা অন্যকে না বলাই শ্রেয়। তাহলে আপনার কাজে অন্য কেউ সহজে বাধা তৈরি করতে পারে।
নিজের সুখ আর স্নেহের কথাও অপরিচিত বা অন্যের কাছে গোপন রাখতে হয়। সন্তানকে কখনই প্রকাশ্যে আদর করবেন না। তাতে অনেকেই খারাপ দৃষ্টি দিতে পারে। তাতে সন্তানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
সন্তানকে নতুন জামা পরানোর আগে বা বেশি সাজিয়ে নিয়ে বার হওয়ার আগে এমন কোনও স্থান একটি ঘেঁটে দিন। তাহলে সন্তানের ওপর কুনজর পড়বে না।
সন্তানের মত বাড়িও পুজোর আগে যদি সাজান বা রঙ করেন তাহলে কোনও একটা জায়গায় একটু কালো রঙ লাগিয়ে দিন , তাহলে আপনার বাড়ির দিকে কারও অশুভ দৃষ্টি পড়বে না।
বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তা গোপন রাখুন। আপনার ঘনিষ্ট কয়েক জনের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাহলে অশুভ দৃষ্টিতে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।