২০২৫ সালে মঙ্গল গ্রহের অশুভ অবস্থান এবং অন্যান্য গ্রহের সাথে সংযোগের ফলে বেশ কিছু অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ঘটেছে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, বছরের বাকি সময়েও মঙ্গল সক্রিয় থাকবে এবং শত্রু গ্রহের সাথে সংযোগ স্থাপন করবে, যার ফলে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ঠিক যেমন শনি-র নামে ভয় পান অনেকেই। তেমন ভাবেই আরও এক গ্রহ আছে যার জেরে তছনচ হয়ে যেতে পারে জীবন। আর তার নাম মঙ্গল। নাম মঙ্গল হলেও, মঙ্গলের অশুভ অবস্থান এবং অশুভ সংযোগ জীবন অমঙ্গল ডাকতে সময় নেয় না।
214
জ্যোতিষশাস্ত্রে দুর্ঘটনার কারক মনে করা হয় মঙ্গল গ্রহ-কে। ২০২৫ সাল মঙ্গলের প্রভাবের বছর।
314
এই বছর, অর্থাৎ ২০২৫ সালে গুরুত্বপূর্ণ চারটি গ্রহ স্থান বা রাশি পরিবর্তন করেছে।
২০২৫ সালের ছয় মাসের মধ্যেই বেশ কয়েকটি অপ্রত্যাশিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ঘটে গিয়েছে। দুর্ঘটনার ফলে বহু মানুষের মৃত্যুও হয়েছে।
514
এটা জ্যোতীষশাস্ত্রীয় ব্যাখা বলছে যখন যখন মঙ্গল সক্রিয় হয়েছে এবং শত্রু গ্রহের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে, তখন তখনই এমন অমঙ্গল ঘটেছে।
614
৭ জুন, ভারতীয় সময় রাত ২টো ১৩ মিনিটে রাশি পরিবর্তন করে মঙ্গল সিংহ রাশিতে গমন করেছে। আগামী ২৮ জুলাই রাত ৭টা ৫৯ পর্যন্ত সিংহ রাশিতেই অবস্থান করবে।
714
২০২৫ সাল শেষ হতে আরও প্রায় ছ’মাস বাকি। এই সময়কালে সকলকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
814
এর কারণ হল, বছরের বাকি ছয় মাসেও মঙ্গল সক্রিয় থাকবে এবং শত্রু গ্রহের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। এর ফলে ঘটতে পারে আরও নানা অঘটন।
914
মঙ্গল, রাহু ও কেতু একই অক্ষে অবস্থান করছে। এই যোগ দেশের জন্য অত্যন্ত অশুভ।
1014
রাহুর সঙ্গে সম্পর্কিত হল দুর্ঘটনা। এটা সাধারণত আকাশপথে বা উড়ন্ত বস্তু বিপদ ঘটার শঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
1114
দোসর মঙ্গল হওয়ার ফলে কোনও ধরনের অপ্রত্যাশিত বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। অগ্নিকাণ্ড, বিস্ফোরণ, অস্ত্র ও গোলাবারুদের ব্যবহারও বৃদ্ধির আশঙ্কাও বৃদ্ধি পেতে পারে।
1214
২৯ জুলাই থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত মঙ্গল কন্যা রাশিতে অবস্থান করে শনির সঙ্গে জোট স্থাপন করবে এই সময়েও নানা খারাপ ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই সময় সকলের সচেতন থাকা উচিত।
1314
এর পর মঙ্গল রাশি পরিবর্তন করে তুলা ও বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থান করে রাহুর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। ফলে এই সময়ও শুভ হবে না।
1414
বিশেষজ্ঞদের মতে ৬ ডিসেম্বরের পর থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। ফলে এই সময় দেশের দশের সকলকে সাবধানে থাকতে হবে বলে মনে করছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা।