সিদ্ধিদাতা গণেশের আশীর্বাদ পেতে পুজোর আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেন না সকলেই। আজ রইল এই পুজোর এক বিশেষ রীতির কথা।
ভাদ্রমাস জুড়ে রয়েছে একের পর এক উৎসব। বিশ্বকর্মা পুজো থেকে শুরু করে গণেশ চতুর্থী। এই মাসটি প্রতিটি পরিবারের কাছে খুবই উল্লেখযোগ্য। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী পালিত হয়। শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি থেকে ১০ দিন ধরে চলে উৎসবে। এই উৎসব মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ওড়িশা ও কর্ণাটকে পালিত হয় সাড়ম্বরে। পশ্চিমবঙ্গেরও বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয় এই উৎসব। গণেশের পুজো আর্চনায় ব্যস্ত হন সকলে।
এই বছর গণেশ চতুর্দশীর উৎসব পালিত হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। তা চলতে ১০ দিন ব্যাপী। ২৮ সেপ্টেম্বর শেষ হবে উৎসব। গণেশ চতুর্থীর দিন প্রতিমা স্থাপনের শুভ সময় ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১.০১ থেকে দুপুর ১.২৮ পর্যন্ত।
সিদ্ধিদাতা গণেশের আশীর্বাদ পেতে পুজোর আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেন না সকলেই। আজ রইল এই পুজোর এক বিশেষ রীতির কথা। সকলেই জানেন গণেশ পুজোয় তুলসী ব্যবহার করতে নেই। তবে, জানেন কি কেন চালু হয়েছে এই নিয়ম। আজ রইল অজানা কাহিনি।
গণেশকে ভুলেও তুলসী অর্পণ করবেন না। তুলসী ব্যবহার গণেশ পুজোয় বর্জিত। তুলসী পাতায় দিলে প্রসন্ন হন বিষ্ণু, রাম ও কৃষ্ণ। কিন্তু গণেশের প্রিয় নয় তুলসী। পৌরাণিত কাহিনি অনুসারে, একদা গণেশ গঙ্গা নদীর ধারে তপস্যা করছিলেন। সে সময় তুলসী নিজের বিবাহের কামনা নিয়ে তীর্থে বের হন। তিনিন সর্বত্র ভ্রমণের পর গঙ্গা তীরে পৌঁছান। গণেশকে তপস্যা করতে দেখেন। গণেশ সে সময় সমস্ত অঙ্গে চন্দনের প্রলেপ, গলায় ফুল সহ স্বর্ণ মণি রত্নের মালা পরেছিলেন। তাঁকে দেখে মুগ্ধ হন তুলসী।
তিনি গণেশের ধ্যান ভঙ্গ করেন। প্রকাশ করেন বিবাহের ইচ্ছা। তুলসীর মনস্কামনা জেনে শ্রী গণেশ নিজেকে ব্রক্ষচারী হিসেবে পরিচয় দেন ও তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন।
এতে ক্ষুদ্ধ হন তুলসী। তিনি অভিশাপ দেন গণশের এক নয় দুটি বিয়ে হবে। তখন গণেশ তুলসীকে ক্রুদ্ধ হয়ে অভিশাপ দেন। তিনি বলেন, রাক্ষসের স্ত্রীর হবেন তুলসী। এর পর নিজের পুজোয় তুলসীর ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দেয় গণেশ। যদিও পৌরানিক কাহিনি অনুসারে, জলন্ধর নামক এক অসুরের সঙ্গে তুলসীর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু, তুলসী বিষ্ণু ও কৃষ্ণের প্রিয় হওয়ার প্রসিদ্ধি লাভ করেন। এই কারণেই গণেশ পুজোয় কখনও তুলসীর ব্যবহার করা হয় না। এতে দেখা দিতে পারে অমঙ্গল।
আরও পড়ুন
Daily Horoscope: শুক্রবার এই রাশিগুলি মনের মত দিন কাটাবে, দেখে নিন আপনার আজকের রাশিফল